শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫ ।। ২ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৭


গাজায় ত্রাণ সরবরাহে রাফাহ ক্রসিং পুনরায় খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গাজার রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট তারিখ জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইসরাইল। ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলটিতে মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিয়ে দেখা দিয়েছে ব্যাপক অনিশ্চয়তা।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) আনাদোলু অ্যাজেন্সি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজায় ত্রাণ সহায়তা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা ইসরাইলি সংস্থা সিওজিএটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মিসরের সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন হওয়ার পর রাফাহ ক্রসিং খোলার তারিখ ঘোষণা করা হবে। শুক্রবার থেকে কার্যকর হওয়া গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের আওতায় বুধবার সীমান্ত ক্রসিংটি পুনরায় খোলার কথা ছিল।

রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজা উপত্যকায় মানবিক সাহায্য প্রবেশ করবে না বলে জানিয়েছে সিওজিএটি। তারা দাবি করেছে, ইসরাইলি নিরাপত্তা পরীক্ষার পর ‘কেরেম শালোম সীমান্ত ক্রসিং ও অন্যান্য ক্রসিং দিয়ে গাজা উপত্যকায় মানবিক সাহায্য প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে’।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী ২০২৪ সালের মে মাস থেকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে ফিলিস্তিনিদের চলাচলে বাধা দিচ্ছে। এটি এই অঞ্চলের বাইরে বিশ্বের সাথে যোগাযোগের একমাত্র পথ। রাফাহ ক্রসিং ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলের যুদ্ধ শুরুর আগে তেল আবিব নিয়ন্ত্রিত করত না।

ইসরাইলি গণমাধ্যমের মতে, হামাসের হাতে আটক সব ইসরাইলি পণবন্দীর লাশ না পাওয়া পর্যন্ত তেল আবিব ক্রসিংটি পুনরায় খুলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় হামাস ২০০০ ফিলিস্তিনি বন্দীর বিনিময়ে ইতোমধ্যেই ২০ জন জীবিত ইসরাইলি পণবন্দী ও প্রায় ১০ জনের লাশ হস্তান্তর করেছে। ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তারা বাকি পণবন্দীদের লাশ খুঁজে বের করতে ‘জোর প্রচেষ্টা’ চালাচ্ছে।

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ