রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫ ।। ২ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৭


গাজায় নিশ্চিহ্ন মসজিদ, ধ্বংসস্তূপ থেকেই ভেসে আসছে আজান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গাজার প্রায় সব মসজিদই এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত। ইসরায়েলের টানা হামলায় গাজা উপত্যকার ঐতিহাসিক স্থাপত্য, মিনার ও নামাজের স্থানগুলো মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। তবুও ধ্বংসস্তূপের মাঝেই আজান দিচ্ছেন মুয়াজ্জিনরা, নামাজ পড়ছেন ফিলিস্তিনিরা।

দ্য ফিলিস্তিন ইনফরমেশন সেন্টার জানিয়েছে, দুই বছরের বিধ্বংসী হামলায় গাজা এখন প্রায় মিনারবিহীন। যেসব মসজিদ একসময় নামাজের আহ্বানে মুখর ছিল, সেগুলো এখন ধূলা ও পাথরের স্তূপ। শতাব্দীপ্রাচীন স্থাপত্যের কোনো চিহ্ন অবশিষ্ট নেই—যেন ইতিহাসই বোমার নিচে বিলীন হয়ে গেছে।

গাজার শুজাইয়্যা এলাকার ৬২ বছর বয়সী আবু খালেদ আল-নাজ্জার বলেন, “আমার বাবার কণ্ঠস্বর চেনার আগেই আমি মুয়াজ্জিনের কণ্ঠ চিনতাম। পঞ্চাশ বছর ধরে এখানে নামাজ পড়েছি, আর আজ মসজিদের দরজার পাশের নামাজের গালিচাটাও ধ্বংসস্তূপের নিচে হারিয়ে গেছে।”

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি আগ্রাসনে উপত্যকার ১,২৪৪টি মসজিদের মধ্যে ৮৩৫টি পুরোপুরি ধ্বংস এবং ১৮০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে মামলুক ও অটোমান যুগের শতাব্দীপ্রাচীন মসজিদও রয়েছে।

পুরনো শহরের গ্রেট ওমারি মসজিদ ধ্বংসাবশেষে দাঁড়িয়ে ২৭ বছর বয়সী মাহমুদ কান্দিল বলেন, “এই মসজিদ ছিল গাজার প্রাণ। এখন শুধু ধুলা। মনে হচ্ছে তারা শুধু ভবন নয়, আমাদের স্মৃতিও মুছে ফেলতে চায়।”

আল-দারাজপাড়ার আল-সাইয়্যিদ হাশিম মসজিদ এখন ধ্বংসস্তূপ। তার সামনে বসে ৭৪ বছর বয়সী উম্মে ওয়ায়েল বলেন, “আমি অসুস্থ থাকলেও প্রতি বৃহস্পতিবার এখানে সূরা আল-কাহফ পড়তাম। এখন যাওয়ার জায়গা নেই। তবু ঘরে বসে আমরা কুরআন পড়ব—আল্লাহ আমাদের কথা শুনবেন, যেখানেই থাকি।”

চাইলে আমি প্রতিবেদনটির সঙ্গে গাজার ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদ থেকে ধোঁয়া ও ভোরের আলোয় ভেসে আসা আজানের প্রতীকী দৃশ্যের একটি ছবি তৈরি করে দিতে পারি—চাও?

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ