ইসরায়েলি দখলদার প্রশাসন আল-আকসা মসজিদের খতিব ও জেরুজালেমের সর্বোচ্চ ইসলামিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শায়খ ইকরিমা সাবরিকে ছয় মাসের জন্য আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ ও নামাজ আদায় থেকে নিষিদ্ধ করেছে। পর্যবেক্ষকরা একে তার বিরুদ্ধে চলমান নিপীড়নের ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখছেন।
জেরুজালেমের সর্বোচ্চ ইসলামিক কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি প্রশাসনের এই নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর ভয়াবহ হস্তক্ষেপ। কাউন্সিল বলেছে, “আল-আকসার খুতবা ও ধর্মীয় কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ অগ্রহণযোগ্য এবং এটি ফিলিস্তিনে ইসলামী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শায়খ ইকরিমা সাবরি ফিলিস্তিনে ইসলামী রেফারেন্স ও নেতৃত্বের প্রতীক। তার বিরুদ্ধে নেওয়া এই পদক্ষেপ ধর্মীয় ও রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত বিপজ্জনক বার্তা বহন করে।
কাউন্সিল আরব ও মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে—আলেমদের ওপর এই নিপীড়ন বন্ধে কার্যকর ভূমিকা নিতে এবং আন্তর্জাতিক আইনে ধর্মীয় নেতাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে। তাদের ভাষায়, “আলেমদের ওপর হামলা ইসরায়েলের চরমপন্থী সরকারের ধর্মীয় যুদ্ধ উসকে দেওয়ার অংশ।”
শায়খ সাবরির আইনজীবী কমিটি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মহলের নিন্দা সত্ত্বেও ইসরায়েল তার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা অভিযোগ করেছে, ইসরায়েলি গণমাধ্যমে শায়খ সাবরির বিরুদ্ধে উসকানিমূলক প্রচারণা বেড়েছে; এমনকি কিছু উগ্র সাংবাদিক প্রকাশ্যে নিরাপত্তা বাহিনীকে তাকে হত্যা করার আহ্বান জানিয়েছে।
প্রতিরক্ষা কমিটি এসব কর্মকাণ্ডকে “আইনের চরম লঙ্ঘন এবং মানবাধিকারের জঘন্য অপমান” বলে আখ্যায়িত করেছে।
বিবৃতির শেষে বলা হয়, শায়খ ইকরিমা সাবরি গত পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসলামী নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন। কেবল তার ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের কারণে তাকে শাস্তি দেওয়া অন্যায় ও অমানবিক।
সূত্র: ওয়াফা
এনএইচ/