মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :

 বিশেষ ‘কে ভিসা’ চালু করছে চীন, আবেদন করতে পারবেন যারা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি দেশটিতে যাওয়ার জন্য ‘এইচ-ওয়ান-বি’ ভিসার ফি বাড়িয়ে এক লাখ ডলার করেছে। এরপরেই আলোচনা শুরু হয়েছে চীনের ‘কে-ভিসা’ নিয়ে।

চলতি বছরের আগস্ট মাসে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রতিভাবান ব্যক্তিদের নিজের দেশে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ‘কে-ভিসা’ চালু করার ঘোষণা করেছে চীন। দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, অক্টোবর থেকে এই ভিসা দেয়া শুরু হবে।

যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯০ সাল থেকে ‘এইচ-ওয়ান-বি’ ভিসা ব্যবস্থা চালু হয়। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও অঙ্কশাস্ত্রের সঙ্গে জড়িত কুশলী কর্মীদেরই এই ভিসা দেয়া হয়। সবথেকে বেশি সংখ্যায় ‘এইচ-ওয়ান-বি’ ভিসা ভারতীয়রাই পেয়ে এসেছেন এতদিন। তালিকায় এরপরেই রয়েছেন চীনের নাগরিকরা।

নিউজউইক চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে লিখেছে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করবে না। তবে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা প্রতিভাকে চীন স্বাগত জানাবে। ‘কে-ভিসা’ চালু করার উদ্দেশ্য হলো, যাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রের প্রতিভাবান ব্যক্তিরা চীনে গিয়ে কাজ করতে পারেন। 

কে-ভিসার বিশেষত্ব কী?
সিনহুয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনের ইতোমধ্যে যে ১২ ধরনের ভিসা চালু আছে, তার থেকে ‘কে-ভিসা’ আলাদা। এই ভিসা নিয়ে চীনে যাওয়া ব্যক্তিকে দেশে প্রবেশ করা, সময়সীমা আর সেখানে বসবাস করার ক্ষেত্রে বেশি সুবিধা দেয়া হবে।

এই ভিসা নিয়ে চীনে যারা যাবেন, তারা শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে পারবেন। একই সঙ্গে সেদেশে ব্যবসা ও শিল্প-স্থাপনও করতে পারবেন। তবে এই ভিসার বড় বিশেষত্ব হলো, চীনের কোনো নিয়োগকর্তা বা প্রতিষ্ঠান থেকে আমন্ত্রণপত্র না পেলেও আবেদন করা যাবে। ভিসা দেয়ার প্রক্রিয়াও সুবিধাজনক করা হচ্ছে।

সদ্য স্নাতক, গবেষক ও শিল্পদ্যোগীদের জন্য ‘কে-ভিসা’ বেশি সুবিধাজনক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ভিসা পেতে গেলে চীনে কোনো চাকরির অফার না থাকলেও হবে। চাইলে দেশটিতে গিয়ে কেউ চাকরি খুঁজে নিতে পারেন।


কারা আবেদন করতে পারবেন?
যেসব বিদেশি তরুণ-তরুণী বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং বা অঙ্কশাস্ত্রে চীন বা কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা উচ্চতর ডিগ্রি পেয়েছেন, তারাই এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা বা গবেষণা করছেন, এমন পেশাজীবীরাও এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীদের জন্য একটাই প্রয়োজনীয় বিষয়, ‘কে-ভিসা’র জন্য যে নির্দিষ্ট বয়সসীমা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা, সেই শর্ত পূরণ করতে হবে।

এই ‘কে-ভিসা’ হলো চীনের ‘আর-ভিসা’রই বিস্তারিত ব্যবস্থা। চীন ২০১৩ সালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত প্রতিভাবানদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ‘আর-ভিসা’ চালু করেছিল।
 
সূত্র: বিবিসি

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ