আফগানিস্তানের শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কাতারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আফগান কর্মীদের জন্য অতিরিক্ত ১,৩০০টি নতুন চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই নিয়োগ চুক্তির ফলে কাতারে কর্মরত আফগান শ্রমিকের সংখ্যা ২,০০০ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সামিউল্লাহ ইব্রাহিমি জানান, “এই নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিগগিরই কর্মী যাচাইকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে। কাতারি কোম্পানিগুলোর চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা ও পেশাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে তালিকা প্রস্তুত করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করতে চায় যেন সঠিক ও উপযুক্ত ব্যক্তিরা এই সুযোগ পান এবং সমগ্র প্রক্রিয়া স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হয়।”
অর্থনৈতিক মন্দা ও ব্যাপক বেকারত্বে বিপর্যস্ত আফগান নাগরিকরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। কাবুলের এক শ্রমিক মেহেদী বলেন, “আমরা চাই প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ ও ন্যায্য হোক। আগে একটি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আমি বাদ পড়ি, পরে শুনেছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের আত্মীয়দের অগ্রাধিকার দিয়েছে।”
আরেক শ্রমিক, নিক মোহাম্মদ বলেন, “আমাদের এখানে কোনো কাজ নেই। যদি কাতারে কাজের সুযোগ পাই, তাহলে তা আমাদের পরিবারকে সহায়তা করতে সহায়ক হবে।”
অর্থনৈতিক বিশ্লেষক মীর শাকির ইয়াকুবি বলেন, “বিদেশে কর্মী পাঠানো কেবল বেকারত্ব হ্রাস করে না, এটি শ্রমিকদের একটি নির্ভরযোগ্য আয়ের উৎসও তৈরি করে। পাশাপাশি, এতে পেশাগত প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরি হয়, যা জাতীয় অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
জাতিসংঘের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে বেকারত্বের হার বাড়ছে। এমন প্রেক্ষাপটে আফগানিস্তান সরকার এই ধরনের বিদেশি কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং পাশাপাশি দেশে নিজস্ব কর্মসংস্থান কর্মসূচিও গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এনএইচ/