মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠা ছাড়া দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব নয় : মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বিএনপির সঙ্গে জোট করার বিষয়ে যা বললেন রাশেদ খাঁন মহাসড়কে পড়ে ছিল নৌবাহিনী সদস্যের মরদেহ জামিন পাননি বাউল শিল্পী আবুল সরকার, শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ‘দীনি শিক্ষাব্যবস্থায় গুণগত মানের ঘাটতি উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে’ আলোকিত সমাজ গড়তে শিক্ষকদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই : মাসুদ সাঈদী এবার লাখো কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত আয়োজনের ঘোষণা হুমায়ুনের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তার সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের বৈঠক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে আইনি নোটিশ

পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য আর নেই

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসনের দ্বিতীয় এবং শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ১১ বছর পশ্চিবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বুদ্ধদেবের মৃত্যুর খবর জানান তার সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, সকালেও বুদ্ধদেব প্রাতঃরাশ করেছিলেন। তার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকাল ৮টা ২০ মিনিটে পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই তিনি মারা যান। খবর পেয়ে সুচেতন সেখানে পৌঁছেছেন।

গত বুধবার রাতে বুদ্ধদেবের শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়েছিল। তারপর বৃহস্পতিবারই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন বুদ্ধদেব।

২০২৩ সালের ৯ আগস্ট হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন বুদ্ধদেব। সে বছর ২৯ জুলাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করানো হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। সে সময় বেশ কয়েক দিন তাকে ভেন্টিলেশন (ইনভেনসিভ) সাপোর্টে রেখেছিলেন চিকিৎসকেরা।

দীর্ঘ দিন ধরেই গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় (সিওপিডি) ভুগছিলেন তিনি। অসুস্থতার কারণে শেষ কয়েক বছর কার্যত গৃহবন্দিই ছিলেন। আগেও একাধিক বার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বুদ্ধদেব। সে সময়ও কয়েক দিন ভেন্টিলেশনে রাখতে হয় তাঁকে। সেখান থেকে বিপদমুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন।

২০২১ সালের মে মাসের মাঝামাঝি কোভিডে আক্রান্ত হন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১৮ মে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। একই সময় করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তার স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যও। একই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় মীরাকে। দু’জনেই কোভিড নেগেটিভ হয়ে ফেরেন কিছু দিনের মধ্যে।

২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি বুদ্ধদেব সংবাদের শিরোনামে আসেন পদ্মভূষণ প্রত্যাখ্যান করে। কেন্দ্রীয় সরকার তাঁর নাম মনোনীত করলেও, তিনি এই সম্মান নিতে অস্বীকার করেন।

বুদ্ধদেবের ১১ বছরের শাসনকালের শেষ পাঁচ বছর বাংলার রাজনীতিতে নানা দিক থেকেই এক সরগরম পর্ব। এই রাজনৈতিক উত্তাপের গোটাটাই ছিল তাঁর শিল্পায়ন-নীতিকে ঘিরে। যে শিল্পায়নকে বুদ্ধদেব বাজি ধরেছিলেন, সেই শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের পদ্ধতিই বুদ্ধদেবের পায়ের তলার জমি সরিয়ে দিয়েছিল। ২০০৬ সালে ২৩৫ আসনে জিতে ক্ষমতায় ফেরা মুখ্যমন্ত্রীকে পাঁচ বছর পরই শোচনীয় পরাজয়ের মুখে পড়তে হয়। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে অবসান হয় সাড়ে ৩৪ বছরের একটানা বাম শাসনের।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ