রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ ।। ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ।। ১১ জিলকদ ১৪৪৫


ড্রোন হামলায় ২ দখলদার সেনা নিহত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলায় ইসরাইলের দুই রিজার্ভ সেনা নিহত হয়েছেন। সোমবার (৬ মে) উত্তর ইসরাইলের মেতুলার একটি সামরিক অবস্থানে ওই ড্রোন হামলা হয়। মঙ্গলবার ইসরাইলি বাহিনী দুই সেনা নিহতের এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, তারা বিস্ফোরকভর্তি হিজবুল্লাহর ড্রোনটি ভূপাতিত করার চেষ্টা করেছে কিন্তু তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত ড্রোনটি সেনাদের ওপর আঘাত করে। এতে ওই দুই সেনা মারা যায়।

নিহত দুই সেনার পরিচয় তুলে ধরেছে টাইমস অব ইসরায়েল। তাদের একজন হলো মাস্টার সার্জেন্ট ডান কামকাজি এবং অন্যজন মাস্টার সার্জেন্ট নাহমান নাতান হারেৎজ। দুজনেরই বয়স ৩১ বছর।

ড্রোন হামলায় আরেক সেনা আহত হয়েছেন। হিজবুল্লাহ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। এর আগে হিজবুল্লাহ অধিকৃত গোলান মালভূমির সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে একসাথে অন্তত ৩০টি রকেট ছোড়ে।

এই হামলার পর দক্ষিণ লেবাননের ছরিবিন গ্রামে হিজবুল্লাহর একটি ভবনে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এছাড়া দক্ষিণ লেবাননের আইতা আশ-শাআব গ্রামে হিজবুল্লাহর একটি রকেট উৎক্ষেপণ ঘাঁটিতেও হামলা চালানো হয়।

এদিকে মিশরের রাজধানী কায়রোতে হওয়া যুদ্ধবিরতির এবারের আলোচনাই ইসরাইলি জিম্মি মুক্তির শেষ সুযোগ হবে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। মঙ্গলবার (৭ মে) কায়রোর উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে তিনি এমনটি জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের ওই কর্মকর্তা জানান, হামাসের প্রতিনিধি দল প্রাথমিকভাবে কাতার থেকে মিশরের রাজধানীতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেছিল। তবে পরে কায়রো যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

হামাসের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর রাফা আক্রমণের সিদ্ধান্ত ইঙ্গিত দিয়েছে যে তিনি এবং ইসরাইলি সেনাবাহিনী ও বন্দীদের মৃত্যু চাইছেন। নেতানিয়াহু এবং ইহুদিবাদী বন্দীদের পরিবারের জন্য তাদের সন্তানদের ফিরিয়ে নেয়ার এটাই হবে শেষ সুযোগ।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ