মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
সন্তোষজনক আসন পেলে আট দলে যাওয়ার খবর ভিত্তিহীন: জমিয়ত বেগম রোকেয়াকে ‘মুরতাদ-কাফের’ আখ্যা দিলেন রাবি শিক্ষক তারেক রহমান দেশে ফিরলে কোনো ধরনের বাধা বা সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ নেই : সারজিস আলম ‘ইসলামপন্থীরা এক থাকলে জাতীয় স্বার্থে কেউ আঘাত করতে পারবে না’ হাতপাখা নিয়ে লড়ছেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের শীর্ষ ৮ নেতা নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান, জরিপ যা বলছে যশোরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের যৌথ মতবিনিময় সভা তরুণ কওমি-ওলামার প্রতি বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয় মাওলানা আবুল কালামের শয্যাপাশে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ তফসিল ঘোষণার তারিখ জানালেন ইসি মাছউদ

নিরাপত্তা পরিষদে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে প্রস্তাব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ১১-০ ভোটে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। বুধবারের প্রস্তাবে বলা হয়েছে অবিলম্বে লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজের ওপর হুথি বিদ্রোহীদের আক্রমণ বন্ধ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান যৌথভাবে এই প্রস্তাব সামনে নিয়ে এসেছিল। হুথি বিদ্রোহীদের আক্রমণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে বিপুল ক্ষতির মুখে ফেলছে বলে ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে।

রাশিয়া, চীন, মোজাম্বিক ও আলজেরিয়া এই ভোটে অংশ নেয়নি। বস্তুত, লোহিত সাগরে ইরানের মদতপুষ্ট হুথি বিদ্রোহীরা এখনো পর্যন্ত ২৬ বার পণ্যবাহী জাহাজে আক্রমণ চালিয়েছে। যে কারণে, লোহিত সাগর হয়ে সুয়েজ খালের ওই রাস্তা আপাতত ব্যবহার করছে না অধিকাংশ পণ্যবাহী জাহাজ। ইউরোপ থেকে এশিয়া যাওয়ার জন্য আফ্রিকার কেপ অব গুড হোপের রাস্তা ধরছে তারা। যার কারণে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। সময়ও লাগছে অনেক বেশি।

হুথি বিদ্রোহীদের অবশ্য বক্তব্য, গাজায় ইসরায়েলের অভিযান বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা এই আক্রমণ চালিয়ে যাবে।

পশ্চিম এশিয়ায় সফর করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। আপাতত মঙ্গল ও বুধবার তিনি ইসরায়েলে ছিলেন। সফর চলাকালীন একাধিকবার তিনি ইরানকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে আক্রমণ বন্ধ না করলে ইরানের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বুধবার ওয়াশিংটনও একই কথা বলেছে। হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশ বলেছে, লোহিত সাগরে হুথি বিদ্রোহীদের আক্রমণ বন্ধ করতে। আক্রমণ বন্ধ না হলে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপের পরিকল্পনা করা হবে।

বস্তুত, পেন্টাগন আগেই জানিয়েছিল, একাধিক দেশকে সঙ্গে নিয়ে লোহিত সাগরে তারা একটি নিরাপত্তা জোট তৈরি করছে। যারা হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করবে। যুক্তরাসহ একাধিক দেশের অভিয়োগ, হুথি বিদ্রোহীরা ইরানের মদদে এসব করছে।

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন রকেট হামলা করে হামাস। কয়েকশ মানুষকে পণবন্দি করে নিয়ে যায় তারা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে গাজা উপত্যকায়। তখন থেকেই লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজে আক্রমণ শুরু করে হুথি বিদ্রোহীরা। ডিসেম্বরের শুরুতে তারা মার্কিন জাহাজে আক্রমণ চালায়। তবে সবচেয়ে বড় আক্রমণ হয় ৯ জানুয়ারি। ওইদিন ইয়েমেনের দিক থেকে অন্তত ২০টি মিসাইল ছোঁড়া হয় বলে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি। লোহিত সাগরে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ ওই মিসাইলগুলোকে প্রতিহত করে বলে ওয়াশিংটন দাবি করেছে।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ