মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
সন্তোষজনক আসন পেলে আট দলে যাওয়ার খবর ভিত্তিহীন: জমিয়ত বেগম রোকেয়াকে ‘মুরতাদ-কাফের’ আখ্যা দিলেন রাবি শিক্ষক তারেক রহমান দেশে ফিরলে কোনো ধরনের বাধা বা সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ নেই : সারজিস আলম ‘ইসলামপন্থীরা এক থাকলে জাতীয় স্বার্থে কেউ আঘাত করতে পারবে না’ হাতপাখা নিয়ে লড়ছেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের শীর্ষ ৮ নেতা নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান, জরিপ যা বলছে যশোরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের যৌথ মতবিনিময় সভা তরুণ কওমি-ওলামার প্রতি বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয় মাওলানা আবুল কালামের শয্যাপাশে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ তফসিল ঘোষণার তারিখ জানালেন ইসি মাছউদ

সাহায্যের বিষয়ে পশ্চিমাদের দ্বিধা পুতিনকে সাহসী করছে : জেলেনস্কি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান চলছে টানা প্রায় দুই বছর ধরে। রুশ এই আগ্রাসনের শুরু থেকেই দেশটিকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা করে আসছে মিত্ররা। তবে মার্কিন রিপাবলিকানরাসহ পশ্চিমা মিত্রদের অনেকে বেঁকে বসায় সম্প্রতি দেশটির সহায়তা তহবিলে টান পড়েছে।

আর এতেই বেশ সোচ্চার হয়ে উঠেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, সাহায্যের বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর দ্বিধা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সাহসী করছে।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অঘোষিত সফরে লিথুয়ানিয়া গিয়ে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেছেন, সাহায্যের বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর দ্বিধা রাশিয়াকে উৎসাহিত করছে।

বুধবার জেলেনস্কি লিথুয়ানিয়ান প্রেসিডেন্টকে বলেন, ইউক্রেনকে অবশ্যই তার আকাশ প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করতে হবে এবং তার গোলাবারুদের সরবরাহ পুনরায় পূরণ করতে হবে কারণ ইউক্রেনে প্রায় দুই বছরের চলা এই যুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া।

লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট গিতানাস নওসেদার সাথে আলোচনার পর জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা প্রমাণ করেছি, রাশিয়াকে থামানো যেতে পারে, তাকে (দেশটিকে) প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে কখনও কখনও, ইউক্রেনকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তার বিষয়ে অংশীদারদের সিদ্ধান্তহীনতা শুধুমাত্র রাশিয়ার সাহস এবং শক্তি আরও বাড়িয়ে দেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন) এই যুদ্ধ শেষ করবেন না যতক্ষণ না আমরা সবাই মিলে তাকে শেষ না করি। লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, মলদোভা হতে পারে (রাশিয়ার) পরবর্তী টার্গেট।’

ইউক্রেনের এই প্রেসিডেন্ট এসময় লিথুয়ানিয়াকে তার সামরিক সহায়তা ও শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ জানান।

লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট গিতানাস নওসেদা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জানি এই দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ কতটা ক্লান্তিকর, এবং আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউক্রেনের সম্পূর্ণ বিজয় অর্জনের বিষয়ে আগ্রহী।’

তিনি বলেন, তার দেশ আগামী মাসে কিয়েভে এম৫৭৭ সাঁজোয়া যান পাঠাবে। এটি পূর্বে ঘোষিত ২০০-মিলিয়ন-ইউরোর সামরিক সহায়তা প্যাকেজের অংশ।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ