বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫ ।। ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
খেলাফত আন্দোলনের সাথে সমমনা ইসলামি দলসমূহের বৈঠক অনুষ্ঠিত কুরআনের মহব্বত থেকেই আমার রাজনীতিতে আসা: শায়খ নেছার আহমদ জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: আখতার হোসেন ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধন, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ নাশরুস সীরাহ’র সীরাত প্রতিযোগিতা, চলছে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয়: তীব্র নিন্দা ধর্মীয় নেতাদের মহাসমাবেশে আসার পথে আহত কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে শায়খে চরমোনাই  ইবনে শাইখুল হাদিস এর আগমন উপলক্ষে শৈলকুপায় ব্যাপক প্রস্তুতি পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বেতুয়া হুজুরের বাড়িতে ইসলাহি মাহফিল

কার্গিল যুদ্ধে সায় না দেওয়ায় আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় : নওয়াজ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ

১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধে তার সায় ছিল না। আর পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাপ্রধান পারভেজ মুশারফের কার্গিল পরিকল্পনায় সায় না দেওয়ার জন্যই নাকি তাকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছিল। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তেমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। 

আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নওয়াজের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) বা পিএমএল (এন)-ও। তার আগে নওয়াজের এই মন্তব্য ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক সহজ করার ইঙ্গিত কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

গত শনিবার একটি সাক্ষাৎকারে নওয়াজকে প্রশ্ন করা হয়, কেন তাকে বার বার ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছে। প্রশ্নের উত্তরে ১৯৯৯ সালের ঘটনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে নওয়াজ বলেন, আমি কার্গিল পরিকল্পনার কথা শুনে তার বিরোধিতা করি। বলি এটা সম্ভব হবে না। পরে আমার কথাই সত্যি বলে প্রমাণিত হয়। কিন্তু আমাকে ক্ষমতা হারাতে হয়।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির উপরে জোর দেন নওয়াজ। আলাদা করে উল্লেখ করেন ভারতের কথা। স্মরণ করিয়ে দেন যে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে কেবল তার আমলেই ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রী (অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং নরেন্দ্র মোদী) পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, কারাবন্দী  ইমরান খানকে ‘অনভিজ্ঞ’ বলেও কটাক্ষ করেন।

নওয়াজের দাবি, তার দল (পিএমএলএন) শাসনভার গ্রহণ না করলে অর্থনীতি খাদের কিনারায় পৌঁছে যেত।

১৯৯৯-এর মে মাসে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে মুশকো, দ্রাস, কাকসার এবং বাতালিক সেক্টর, কার্গিল সেক্টরে ঢুকে পড়েছিল পাকবাহিনী। তাদের সরিয়ে দিতে অভিযানে নামে ভারতীয় সেনা। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন বিজয়’। ১৯৯৯ সালের মে থেকে জুলাই কার্গিল যুদ্ধে নিহত হয়েছিল প্রায় ৫০০ জন ভারতীয় জওয়ান। সে সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নওয়াজ।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ