বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬

আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদন ৯৫ শতাংশ কমেছে: জাতিসংঘ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

জাতিসংঘের রিপোর্ট জানাচ্ছে, তালেবান শাসনে আফগানিস্তানে আফিমের উৎপাদন ৯৫ শতাংশ কমেছে। ২০২২ সালের এপ্রিলে আফগানিস্তানে আফিম চাষের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তালেবান। আফগানিস্তানই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় আফিম উৎপাদনকারী। এখান থেকেই ইউরোপে ও এশিায়য় হেরোইন যেত।

জাতিসংঘের অফিস অফ ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম(ইউএনওডিসি) এই রিপোর্টটি তৈরি করেছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছরের তুলনায় আফিম চাষ ৯৫ শতাংশের বেশি কম হয়েছে। গত বছর দুই লাখ ৩৩ হাজার হেক্টরে আফিম চাষ হয়েছিল। এবার হয়েছে, ১০ হাজার আটশ হেক্টরে।

গত বছর আফিম উৎপাদন হয়েছিল ছয় হাজার দুইশ টন, এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩৩ টন। এই বছর যে চাষ হয়েছে, তার থেকে ২৪ থেকে ৩৮ টন হেরোইন রপ্তানি করা যাবে। ২০২২ সালে রপ্তানি করা হয়েছিল ৩৫০ থেকে ৫৮০ টন। গত বছর আফিম চাষ করে কৃষকদের রোজগার হয়েছিল ১৩৬ কোটি ডলার। এবছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ডলারে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, যারা আফিম চাষ করত, তারা যাতে অস্ত্র পাচার বা অন্য কোনো বেআইনি কাজ না করে, তার দিকে নজর রাখা উচিত। ইউএনওডিসি-র এক্সিডিউটিভ ডিরেক্টর ঘাডা ওয়ালি বলেছেন, ‘আজ আফগানিস্তানের মানুষের জন্য মানবিক ত্রাণ খুবই জরুরি। ধান ও তুলো চাযের জন্য প্রচুর পানি দরকার হয়। আর আফগানিস্তানে পরপর তিন বছর খরা হয়েছে। তাই মানুষকে বাঁচাতে সেখানে বিনিয়োগ দরকার। তাহলেই আফগানদের আফিম চাষ থেকে সরিয়ে আনা যাবে।’

কিন্তু তালেবান ক্ষমতায় আসার পর সেখানে আন্তর্জাতিক ত্রাণ প্রায় যাচ্ছে না বললেই হয়। মেয়েদের অধিকারের নিয়ে চিন্তিত দেশগুলি আফগানিস্তানকে ত্রাণ দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ