সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা ও আন্তর্জাতিক মহাসমাবেশ বাস্তবায়নে পরামর্শ সভা  আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণহানির ঘটনায় খেলাফত মজলিসের শোক আলেমে রাব্বানী ক্বারী তৈয়ব (রহ.)-এর স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মির্জা ফখরুলের হাতে ফুল তুলে দিলেন সারজিস ‘কোরবানির চামড়া লবণজাত করে ক্ষতিগ্রস্ত মাদরাসার পাশে দাঁড়ায়নি সরকার’  আওয়ামী ‘দোসরদের’ রাজনীতি নিষিদ্ধে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকসুতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ টঙ্গীতে ইমামদের উদ্যোগে সিরাত প্রতিযোগিতা ডাকসু নির্বাচন ভণ্ডুলের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

গাজার হাসপাতালে মৃত্যু হতে পারে চিকিৎসাধীন অনেক শিশুর 


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি : সংগৃহীত

গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর তিন সপ্তাহ কেটে গেছে। গাজার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ইসরায়েলি এই হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন এবং এদের ৪০ শতাংশ শিশু। 

হামলার পাশাপাশি গাজায় সর্বাত্মক অবরোধও আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল। ফলে সেখানে যারা বেঁচে আছেন তাদেরও পড়তে হচ্ছে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে। আহতদের চিকিৎসাও শঙ্কার মুখে পড়ছে। 

আহত এক শিশুর বাবা শরিফ আল আখরাস তার শিশুকে দেখিয়ে বলেন, এই শিশুরাও কি ইসরায়েলের শত্রু? এরা কি অপহরণ করেছে? হামলা করেছে? 

ইসরায়েলি হামলায় বাবা-মা নিহত হওয়ায় অনেক শিশুর ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বাবা-মা হারানো এক শিশু সালমার আকুতি— তোমরা আমার বাবা-মা আর ভাইকে এনে দাও। আমার বোনের মাথা দিয়ে রক্ত ঝড়ছে। আমার মা ধ্বংস্বস্তুপের নিচে চাপা পড়েছে। 

এদিকে হতাহতের সংখ্যা বাড়ায় চাপ বাড়ছে গাজার হাসপাতালগুলোতে। অন্যদিকে ফুরিয়ে আসছে হাসপাতালের জ্বালানি। ডাক্তাররা বলছেন, হাসপাতালে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে মারা যাবে চিকিৎসাধীন অপরিণত শিশুরা। 

আল-শিফা হাসপাতালের চিকিৎসক নাসের বুলবুল বলছেন, আমি সবাইকে আহ্বান করছি হাসপাতালের এরই জরুরি বিভাগের জন্য দয়া করে প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহ করুন। না হলে আমাদের ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। এ বিভাগে ৫০টি শিশু এখন চিকিৎসাধীন আছে। যদি বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে তবে ৫ মিনিটের মধ্যে সব শিশু মারা যাবে। 

জাতিসংঘ বলছে, হাসপাতালের জ্বালানি এখন বিপজ্জনক পর্যায়ে নেমে এসেছে। প্রায় ৬০ হাজার লোক হাসপাতালগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। 

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় সব ধরনের সহায়তা এবং জ্বালানি বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। গত কয়েকদিনে ৫৫টি ট্রাক ত্রাণ সহায়তা নিয়ে গাজায় প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে। এইসব ট্রাকে শুধুমাত্র ওষুধ, খাবার ও পানি ছিল। কিন্তু কোনো জ্বালানি নিতে দেওয়া হয়নি।  

ইসরায়েলি মিলিটারি বলছে, হামাস এইসব জ্বালানি ব্যবহার করতে পারে। 

জাতিসংঘ বলছে, প্রয়োজন মেটাতে গাজায় প্রতিদিন ১শ ট্রাক ত্রাণ সহায়তা দরকার। 

ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগামের সামির আব্দুল জাবের বলেন, রাফা ক্রসিং দিয়ে এখন যা প্রবেশ করছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সীমিত। প্রতিদিন যে চাহিদা তৈরি হচ্ছে তার তুলনায় এগুলো কিছুই না। আমাদের অপেক্ষা করার মতো আর সময় নেই। জীবনরক্ষাকারী প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এই মুহূর্তেই দরকার। 

প্রায় ২৩ লাখ লোকের খাবার, পানি, ওষুধ এবং জ্বালানি ফুরিয়ে আসছে। যুদ্ধ শুরুর আগে প্রতিদিন ৫ শতাধিক ট্রাক ওষুধ, খাবার, পানি ও অন্যান ত্রাণ সহায়তা গাজায় প্রবেশ করতো। গাজার অর্ধেক মানুষ এইসব ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল। 

সূত্র : বিবিসি।  

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ