বিএনপির সঙ্গে সংলাপ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আগ বাড়িয়ে কোনো সংলাপের উদ্যোগ নেবে না। বিএনপি যদি চারটি মূল বিষয়কে বাইরে রেখে শুভবুদ্ধির উদয় হয়, তাহলে সংলাপ হতে পারে।
রোববার (২৯ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কথা বলে গোপনে সন্ত্রাসী ধারা বাস্তবায়নে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ভয়ংকর রাজনীতির পুরোনো চেহারায় ফিরে আসতে তারা সময় নিচ্ছিল। সময় মতো তারা তাদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পথ বেছে নিয়েছিল।
এই ঘটনার মাধ্যমে বিএনপির স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে। এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হলো, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড বিএনপি আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়েছে। দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াত যে নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে, তার মাধ্যমে তাদের তথাকথিত সমাবেশকে নিয়ে জনমনে যে আশঙ্কা ছিল সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গতকাল কী করেনি? আন্দোলনের নামে তারা সবই করেছে। অফিস- আদালত, বাসাবাড়িতে ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা করে একজনকে হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে। যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলের জন্য আবারও তারা তাদের মজ্জাগত সন্ত্রাসী পথ বেছে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া শর্তের চারটি মূল বিষয় হলো- শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফিরবে না, বর্তমান সংসদ আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে এবং নির্বাচন কমিশন যেমন আছে তেমনই থাকবে।
এনএ/
                              
                          
                              
                          
                        
                              
                          