শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

‘ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এর নামে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে হলের নামকরণ করার দাবি’


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

|| শায়খ আহমাদুল্লাহ ||

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজিত সিরাত সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার পর শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস এবং শিক্ষকদের আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ হয়েছি, তবে একটি শূন্যতা হৃদয়ে অনুভব করেছি। সেটি হলো, বিশ্ববিদ্যালয়টির বরেণ্য প্রফেসর ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ এর নামে কোনো অ্যাকাডেমিক কিংবা আবাসিক হল না থাকা।

ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যার ছিলেন দেশের সম্পদ এবং জাতির জন্য আল্লাহর এক মহান নেয়ামত। তিনি শুধুমাত্র একজন প্রাজ্ঞ আলেম ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন দরদী সমাজ সংস্কারক। জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রেই তিনি শিরক, বিদআত, এবং খ্রিষ্টান মিশনারী অপতৎপরতা সম্পর্কে দেশবাসীকে সচেতন করার লক্ষ্যে কাজ করেছেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে অসংখ্য মানুষ সঠিক পথের দিকে পরিচালিত হয়েছেন।

ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের অবদান শুধু ধর্মীয় শিক্ষায় সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং তিনি ঐক্য এবং মধ্যমপন্থার পথও দেখিয়েছেন। আজকের বিভক্ত জাতিকে তিনি যেভাবে একত্রিত করার চেষ্টা করেছেন, তা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। চিন্তার ভিন্নতা সত্ত্বেও ঈমানের অভিন্নতা নিয়ে সকল মানুষকে একত্রিত করার যে উদাহরণ তিনি রেখে গেছেন, তা আমাদের সবার জন্য একটি শিক্ষণীয় ব্যাপার।

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে তার মতো আরো অনেক গবেষক আছেন, তবে ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের মতো জনবান্ধব, গণমুখী, এবং সব শ্রেণির কাছে সমাদৃত লেখক এবং গবেষক খুব কমই আছেন। কর্মের মাধ্যমে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করেছেন এবং সারা দেশের কাছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি পৌঁছে দিয়েছেন। ইসলামিক সাবজেক্টের শিক্ষক হিসেবে তিনি ক্লাসরুম এর বাইরে গিয়ে, ইসলামের বার্তা সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছেন—এটি অন্য কোনো শিক্ষকের জন্য বিরল একটি উদাহরণ।

তাঁর কর্মের গুণে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে তিনি এক অনন্য অবস্থান অধিকারী। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নয়, বরং তিনি দেশব্যাপী ইসলামী শিক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ মুখ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। এমন একজন শিক্ষকের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হল থাকা যুক্তি এবং জন-আকাঙ্ক্ষার দাবি।

প্রোগ্রাম শেষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং অন্যান্য কর্মকর্তার সঙ্গে দুপুরের খাবার খেতে খেতে আমি তাদের কাছে এই কথাগুলো তুলে ধরেছিলাম। স্যারের মৌলিক গবেষণার কর্ম এবং হীরকতুল্য রচনাবলী তিনি রেখে গেছেন, যা তাকে অমর করে রাখবে। তবে, যদি স্যারের নামে কোনো একটি হলের নামকরণ করা হয়, তবে তা তার অবদানকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি দৃষ্টান্ত হবে এবং নবীন শিক্ষার্থীদের স্যারের কল্যাণমূলক চিন্তা সম্পর্কে পরিচিত হতে উদ্বুদ্ধ করবে।

তাহলে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের উদাত্ত আহ্বান—ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের নামে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হলের নামকরণ করা হোক।

লেখক: আলেম লেখক, দাঈ

এসএকে/

 


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ