শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

ডাকসুর বহুমাত্রিক প্রভাব রাজনীতিতে দেখা যাবে


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

|| মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ ||

ডাকসুতে যা ঘটলো, আগামী সময়ে এর বহুমাত্রিক প্রভাব রাজনীতিতে দেখা দিতে পারে; ইতিবাচক এবং নেতিবাচক। জাতীয় নির্বাচনে ভোটের হিসাব-নিকাশ এবং সম্ভাবনার অনেক নতুন চিত্র দাঁড়াতে পারে। বামপন্থা এবং প্রভাবশালী মহলের বাম ও ভারতপন্থার প্রতি দুর্বলতার সঙ্গে নতুন জেদ যুক্ত হতে পারে। তাদের অনেকের মধ্যে ভাঙ্গনও দেখা দিতে পারে। রাজনীতি ও জোটে অনেক রকম নতুন মেরুকরণ সামনে আসতে পারে। 

গতকাল দেখেছিলাম, একদল স্লোগান দিচ্ছিল, 'রাজাকারের ঠিকানা এই ক্যাম্পাসে হবে না'। এ জাতীয় স্লোগান সম্পূর্ণভাবে ভারতপন্থা ও ফ্যাসিবাদ-পন্থার প্রতি আত্মসমর্পণ। এটা শাহরিয়ার কবির, মুনতাসির মামুন ও ফজলুর রহমানদের মুখের ভাষা হতে পারে, জনপ্রিয় কোনো জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনের ভাষা হতে পারে না। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে (তাদের যে বয়স ও স্তর) রাজাকার থাকার কোনো সম্ভাবনা আদৌ আছে কি? খুবই আশ্চর্য হয়েছি।

শঙ্কা ও সতর্কতার বিষয় হলো, ডাকসুর এই ফলাফল শুধু পরাজিতদেরই মন খারাপ করবে না, করবে বিগত ফ্যাসিবাদী শক্তির, নতুন সম্ভাব্য শক্তির, প্রভাবশালী মিডিয়ার, প্রতিবেশী বড় দেশের এবং প্রভাবশালী বিদেশী কূটনীতিকদের। এর ফলে অনেক নতুন হিসাব-নিকাশ ও বন্দোবস্ত দাঁড় করানো হবে। অনেক কিছুর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহকে থামানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। কথায় আছে, বেশি ভালো ভালো না। এ কারণেই জোটবদ্ধ শত্রুতা ও আরোপিত জটিলতা তৈরির ব্যাপক আশঙ্কা তৈরি হবে।

এই শত্রুতার শিকার হতে পারে রাজনীতি ও মাঠে ময়দানে ব্যাপকভাবে ধর্মপন্থার সব মহল ও বলয়। অপরদিকে ডাকসু বিজয়ী ছাত্র সংগঠনটির মূল সংগঠনের মধ্যেও দেখা দিতে পারে বাড়তি অহং এবং সর্বনাশা একলাচলার নীতি। এতে তাদের জন্য নতুন সংকট সামনে আসবে। সবপক্ষের হুশ এবং বিনয়ী পথচলাই এখন গুরুত্বপূর্ণ।

আবার ঠিক উল্টোটাও ঘটতে পারে, যদি আত্ম বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন এবং শুদ্ধিমূলক হিসাব নিকাশে বসার উদ্যোগ নেয় বড় ও মাঝারি দলগুলো। আল্লাহ তাআলা এইসব পরিস্থিতির ভালোটা দান করুন, মন্দ ও অস্থিরতা থেকে দেশকে হেফাজত করুন।

লেখক: কলামিস্ট, চিন্তক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ