শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

তারেক রহমান কি ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থানের ঘোষণা দিলেন?


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

|| ড. মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী ||

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক জিয়া লন্ডনে বসে সম্প্রতি এক বক্তব্যে বলেছেন, বাংলাদেশ যেন চরমপন্থা ও মৌলবাদের অভয়ারণ্য না হয়। আমরাও যেকোনো স্থানে যেকোনো নামে চরমপন্থী তৎপরতার বিরোধী। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে মৌলবাদ বা মৌলবাদী বলতে ইসলামপন্থীদের বোঝানো হয়। প্রশ্ন হলো, তারেক রহমান সাহেব কি  ইসলামি রাজনীতি ও ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। 

আমরা স্মরণ করতে চাই, স্বাধীনতার পরে আওয়ামী আমলে রচিত  সংবিধানের শুরুতে 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' ছিল না । বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই সর্বপ্রথম বাংলাদেশের সংবিধানে শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সংযোজন করেন। এছাড়া সংবিধানের চারটি মূলনীতির মধ্যে একটি ছিল ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ। 

তিনি ধর্মনিরপেক্ষতবাদ বিলুপ্ত করে  'মহান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস সবকিছুর মূল' এই  মূলনীতি সংযোজন করেন। বাংলাদেশে সমাজতন্ত্র বলতে নাস্তিকতা বোঝায়। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সংবিধানের চার মূলনীতির অন্যতম সমাজতন্ত্রেও পরিবর্তন এনে সমাজতন্ত্রকে সামাজিক ন্যায় বিচারের অর্থে নামে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেন। তার গৃহীত নানা পদক্ষেপ প্রমাণ করে, তিনি এখানে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও মুসলিম জাতিসত্তা ভিত্তিক বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের উত্থান চেয়েছিলেন। 

তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াও যতদিন ক্ষমতায় ছিলেন ততদিন তারেক জিয়া সাহেব যাদেরকে মৌলবাদী বলে কটাক্ষ করেছেন সেই মৌলবাদীদেরকে সাথে নিয়ে ক্ষমতা চর্চা করেছেন। তারেক জিয়া দীর্ঘদিন বিলাতে আছেন। তার মোসাহেবরা দেশের মানুষ সম্পর্কে তাকে যে ধারণা দেয়, তার ভিত্তিতে হয়ত তিনি মৌলবাদ পরিভাষা দিয়ে এখনকার ধর্মপ্রাণ মানুষ এবং ধর্মীয় চেতনাকে আঘাত করেছেন। 

আমরা তার এই বক্তব্য এবং এই শব্দ চয়ন প্রত্যাখ্যান করি এবং তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা বলিষ্ঠভাবে বলতে চাই যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার একমাত্র মূলনীতি হতে পারে, এখানকার বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় মূল্যবোধ ও মুসলিম জাতিসত্তার চেতনাকে মজবুত করা, যে কাজ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দূরদর্শিতার সাথে করেছিলেন। 

বাংলাদেশের মানুষ কোনো দিনও চরমপন্থা সমর্থন করেনি ও করবে না। দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণের গায়ে চরমপন্থার টেগ লাগানোর চেষ্টার ফলে শেখ হাসিনার যে করুণ দশা হয়েছে সেই মর্মান্তিক পরিণতি দেখার পরও বিএনপি নেতা কীভাবে এমন বয়ান দিতে পারেন, ভাবতেই অবাক লাগে। আমরা তার এই বক্তব্য ও শব্দচয়ন প্রত্যাহার চাই।

লেখক: গবেষক, অনুবাদক ও রাজনীতিবিদ

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ