এদেশের মানুষ আলেমদের সম্মান করলেও ভোট দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। এজন্য আলেমদের জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) কিশোরগঞ্জের জামিয়া এমদাদিয়ার বার্ষিক সিরাতুন্নবী মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইমাম, ওলামা ও ইসলামি নেতাদের মানুষ সন্মান করে। তাদের কথা শোনে। তাদের সাথে পরামর্শ করে কাজও করে। তবে, তাদের ভোট দেয় না। সংসদ নির্বাচনে যিনি ৬৩ হাজার ভোট পেয়ে পাস করেন, সেখানে ইসলামি দলের প্রার্থী ভোট পান মাত্র আড়াই হাজার। মানুষের কাছে যেতে হবে। তাদের অভাব- প্রয়োজন জানতে হবে। জনগণের জন্য কাজ করতে হবে। তবেই সাফল্য।
ড. খালিদ হোসেন বলেন, আগে ইসলাম নিয়ে যারা কাজ করেছেন, তারা গ্রামে গ্রামে যেতেন। গ্রামবাসী পানির অভাবের কথা বললে টিউবওয়েলের ব্যবস্থা করে দিতেন। অসুস্থদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেন। তাই গ্রামে গ্রামে যেতে হবে। জনগণের সমস্যা জেনে সমাধান করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ৫৪ বছর পার করছে। এখন ইতিবাচক সময় এসেছে আমাদের মধ্যে যারা সৎ দক্ষ তাদেরকে জনগণের প্রতিনিধি হয়ে মন্ত্রী, স্পিকার, রাষ্ট্রপতি হতে হবে। সর্বক্ষেত্রে ইসলামকে সমুন্নত রাখতে হবে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমি আজ কোটি কোটি টাকার ওপর বসে আছি। টাকার গরম মারাত্মক। সবাই সহ্য করতে পারে না। প্রকৃত ইসলামপন্থী ও ঈমামদারকে টাকার গরম সহ্য করতে হবে। গত ১৫ মাসে এক টাকাও ঘূষ- দুনীতি করিনি। এবার হজ্বে কোটি কোটি টাকা ফেরত এনে হাজীদের দিয়েছি। আরও টাকা আনবো এবং তাও ফেরত দেব।
তিনি বলেন, সমাজে জেনা বেড়ে গেছে, তাই জেনা না করে বিয়ে করে ফেলুন। দুই উরুর মধ্যস্থান ও দুই মাড়ির মধ্যস্থান সমাজকে ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই এ স্থান যেকোনো মূল্যে আমাদের রক্ষা করতে হবে। কেউ কাকে ফেলে দিতে চাইলে আল্লাহ তায়ালা তাকে সন্মানিত করে উপরে বসাবেন। সবকিছুর মালিক মহান আল্লাহ।
সিরাতুন্নবী মাহফিলে আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার মহাপরিচালক মাওলানা শাব্বির আহমাদ রশিদের সভাপতিত্বে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এনএইচ/