বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫ ।। ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১২ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
মৌলভীবাজারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে খেলাফত মজলিসের সমাবেশ ও গণমিছিল খেলাফত মজলিস কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার মাসিক নির্বাহী সভা বিজয় র‌্যালি থেকে ফেরার পথে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নেতার ইন্তেকাল, মহাসচিবের শোক জুলাই শহীদদের স্মরণে স্কুল শিক্ষার্থীদের গণ-কুরআন খতম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আলেম-ওলামার ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা মৌলভীবাজারে ইসলামপন্থীদের ঐক্য ভাবনা শীর্ষক সেমিনার মজলিসের কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী নেত্রকোনায় বিজয় র‍্যালী জুলাই ঘোষণাপত্র একপক্ষীয় রাজনৈতিক প্রবন্ধ: মাওলানা আজিজুল হক ভোলায় জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ ও গণমিছিল  ইন্তিফাদা বাংলাদেশের আয়োজনে গণজমায়েত অনুষ্ঠিত 

যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিস্থাপন করেছে ইরান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইরান গত মাসে ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত তার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিস্থাপন করেছে। রবিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে শীর্ষস্থানীয় এক সেনা কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়।

গত জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে ইসরায়েল আকস্মিকভাবে ইরানের বিরুদ্ধে একটি বোমা হামলা শুরু করে, যার জবাবে তেহরানও ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই সংঘাতে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তেহরানসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বারবার সক্রিয় করা হয়।

ইরানের সেনাবাহিনীর অপারেশন প্রধান মাহমুদ মোসাভির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনাকে বলেছেন, “জায়নবাদী শত্রু ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল এবং এই যুদ্ধে আমাদের কিছু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো এখন পুনঃপ্রতিস্থাপন করা হয়েছে।”

ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কে রয়েছে দেশীয়ভাবে তৈরি বাভার-৩৭৩ এবং খোরদাদ-১৫ সিস্টেম, যা ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরোধে সক্ষম। পাশাপাশি, ২০১৬ সালে ইরান রাশিয়ার এস-৩০০ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গ্রহণ করে।

এই সংঘাতে ইরানে এক হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এবং ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ২৮ জন নিহত হয়। ইসরায়েলের হামলা মূলত ইরানের সামরিক অবকাঠামো এবং পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে চালানো হয়। ২২ জুন, ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর নজিরবিহীন হামলা চালায়, যার লক্ষ্য ছিল ফোরদো, ইসফাহান এবং নাতাঞ্জ।

তবে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ক্ষতির পরিমাণ এখনো স্পষ্ট নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো “সম্পূর্ণ ধ্বংস” হয়ে গেছে, যদিও মার্কিন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে এই দাবির ওপর সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।

এনবিসি নিউজ এক সামরিক ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন উদ্ধৃত করে জানায়, তিনটি স্থাপনার মধ্যে একটি স্থাপনা প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে।

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি নিশ্চিত করবেন যে ইরান কখনোই পুনরায় তার পারমাণবিক সক্ষমতা গড়ে তুলতে না পারে, যা ভবিষ্যতে নতুন সংঘাতের ইঙ্গিত দেয়।

চলতি জুলাই মাসের শুরুতে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানিয়েছেন, ইরান যেন আর কখনোই ইসরায়েলকে হুমকি দিতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে তারা একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে। তিনি বলেন, “আমাদের তেহরানের ওপর আকাশে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে হবে, তাদের উপর বিধি-নিষেধ আরোপের সক্ষমতা বজায় রাখতে হবে এবং তাদের সক্ষমতা পুনর্গঠনের পথ রোধ করতে হবে।”

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ