বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫ ।। ৩ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২২ জিলহজ ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারী-পুরুষের সমান নির্বাচনী সুযোগের পক্ষে জমিয়ত, সংরক্ষিত আসনের প্রয়োজন নেই ইরান-ইসরায়েল সংঘাত সমাধানে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত রাশিয়া ধেয়ে আসছে ইরানি মিসাইলের বহর, জানাল ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানালেন বলিউড অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ শি জিনপিংয়ের ইরান: আমাদের ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েল প্রতিহত করতে পারেনি ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ বাস্তবায়নে যৌথসভা ট্রাম্প: আমি ইরানের সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ চাই ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ইরানের ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ‘সংসদে নারী আসন নিয়ে ঐকমত্য কমিশন অপ্রাসঙ্গিকভাবে চাপাচাপি করছে’

ব্যবসায়ী সাহাবিদের সাফল্যের মূলমন্ত্র


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

|| মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ||

সাহাবিরা ছিলেন নক্ষত্র স্বরুপ। যেকোনো একজন সাহাবিকে অনুসরণ করলেও মুমিন সত্য সরল পথে চলতে পারবে। কারণ, সাহাবারা নবী (সাঃ)-এর সংস্পর্শে থেকে বহু গুণে গুণান্বিত ছিলেন। সাহাবিদের মধ্যে ব্যবসাকে যারা পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তাদের সিংহভাগই পেয়েছিলেন ঈর্ষণীয় সাফল্য। তারা শুধু দুনিয়াবি সফলতাই পাননি, বরং আখেরাতেও হবেন আল্লাহর প্রিয় বান্দা। তাদের এই ব্যবসায়িক সাফল্যের পেছনে কিছু গুণ ছিল, যা আজও অনুসরণযোগ্য:

১. ঈমানদারিতা ও তাকওয়া:  
তাদের সবচে বড় যে গুণটি ছিল সেটা হচ্ছে—তাকওয়া! আল্লাহ তায়ালার ভয়। তারা জানতেন, রিজিক আল্লাহর পক্ষ থেকে। তাই কখনো হারাম লেনদেন করতেন না। লাভের আশায় মিথ্যা বলা, ওজনে কম দেওয়া বা প্রতারণা করতেন না।

২. সততা ও আমানতদারি:  
সাহাবাদের অন্যতম গুণ ছিল সততা ও আমানতদারিতা। রাসূল (সা.) স্বয়ং "আল-আমীন" ছিলেন। সাহাবিরাও ব্যবসায় এই গুণের অনুসরণ করতেন। খালিফা আবু বকর (রা.), ওসমান (রা.), আবদুর রহমান ইবন আওফ (রা.) ছিলেন অত্যন্ত বিশ্বস্ত ব্যবসায়ী।

৩. উত্তম চরিত্র ও ভালো ব্যবহার:  
প্রত্যেক সাহাবিই ছিলেন উত্তম চরিত্রের অধিকারী। এই হোসনে আখলাক তারা নবী (সাঃ)-এর কাছ থেকেই লাভ করেছিলেন। গ্রাহকের সঙ্গে কোমল ব্যবহার, দামাদামিতে সহনশীলতা, সহজে বিক্রি করা—এসব তাদের ব্যবসার মূলনীতি ছিল।

৪. নিয়ত শুধরানো:  
সাহাবারা ব্যবসাকে শুধু উপার্জনের জন্য নয়, বরং মানুষকে উপকার দেওয়ার উদ্দেশ্যে করতেন। নিয়ত খাঁটি থাকত—আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। তাই প্রতি পদে পদে তারা আল্লাহর সাহায্য পেয়েছেন।

৫. সময়মতো দান ও খরচ:  
তাদের মধ্যে ছিল দানশীলতার মহান গুণ। আবদুর রহমান ইবন আওফ (রা.) বিশাল ব্যবসায়ী ছিলেন, কিন্তু আল্লাহর পথে দান করতেন অকপটে। সাফল্যের সাথে সাথে দান করতেন বাড়তি দায়িত্ববোধ নিয়ে।

৬. ধৈর্য ও কষ্ট সহ্য করার মানসিকতা:  
সাহাবিরা ব্যবসার মন্দা, লোকসান বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা—সবকিছু ধৈর্য সহকারে মোকাবিলা করতেন। আর এ কারণে সাফল্যও তাদের পদচুম্বন করেছে। এই গুণটা বর্তমানে বেশিরভাগ ব্যবসায়িদের মধ্যেই অনুপস্থিত। 

সাহাবিদের ব্যবসায়িক গুণগুলোর ভিত্তি ছিল ইসলামের নৈতিকতা ও আল্লাহভীতির শিক্ষা। তাই তাদের সাফল্য শুধু সম্পদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং তা দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের মর্যাদা উন্নীত করেছে।

এমএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ