রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ।। ২১ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৬ জিলকদ ১৪৪৬


বয়স ৩০ পেরোলেই যে-সব পুষ্টির ঘাটতি পূরণ খুবই জরুরি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ত্রিশের কোঠায় পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ভেতরে কিছু সূক্ষ্ম পরিবর্তন শুরু হয়-যা হয়ত ততটা চোখে পড়ে না, কিন্তু প্রভাব ফেলে দীর্ঘমেয়াদে। এই সময়টাতে জীবনযাপনের ধরন, চাপ, এবং দেহের চাহিদা-সবকিছুর ভারসাম্য রক্ষা করা প্রয়োজন। পুষ্টিবিদরা বলছেন, বয়স ৩০ পার হওয়ার পর কিছু নির্দিষ্ট সাপ্লিমেন্ট নিয়মিত গ্রহণ করলে শুধু রোগ প্রতিরোধ নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাপ্লিমেন্ট মানেই বয়সভিত্তিক ভীতির প্রতিক্রিয়া নয়-বরং এটি একটি সচেতন প্রস্তুতি। বাজারে প্রচলিত মাল্টিভিটামিন, ক্যালসিয়াম বা প্রোটিন পাউডার সঠিকভাবে বেছে নেওয়া হলে শরীরের জন্য সহায়ক হতে পারে। নিচে তেমনই ৬টি বিজ্ঞানসম্মত সাপ্লিমেন্টের কথা তুলে ধরা হলো, যেগুলোর প্রয়োজনীয়তা ৩০ বছরের পর থেকেই বাড়তে থাকে।

১. মাল্টিভিটামিন
ব্যস্ত জীবন, অনিয়মিত খাবার, বা রেস্ট্রিকটেড ডায়েট-এসব কারণে শরীরে ভিটামিন বি, জিংক, আয়রন বা ফলেটের ঘাটতি হতে পারে। এক্ষেত্রে একটি উচ্চমানের মাল্টিভিটামিন সেই ঘাটতি পূরণে সহায়ক হতে পারে। তবে বাজারের সব মাল্টিভিটামিন কার্যকর নয়। মিথাইলেটেড বি১২ ও ফলেট, কেলেটেড মিনারেল এবং অতিরিক্ত ডোজবিহীন মাল্টিভিটামিন বেছে নেওয়াই ভালো।

২. ক্যালসিয়াম (ভিটামিন ডি৩ ও কে২ সহ)
ত্রিশের পর থেকে হাড়ের ঘনত্ব ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে। কিন্তু কেবল ক্যালসিয়াম নয়, এর সঠিক শোষণের জন্য ভিটামিন D3 ও K2 থাকা জরুরি। অন্যথায় শরীর ক্যালসিয়ামকে হাড়ে না জমিয়ে রক্তনালিতে জমাতে পারে, যা ঝুঁকিপূর্ণ। সাপ্লিমেন্ট ছাড়াও দুধ, শাকসবজি, ও বীজজাতীয় খাবার থেকেও ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা যেতে পারে।


৩. ভিটামিন সি
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভিটামিন সি পরিচিত হলেও এটি ঠান্ডা প্রতিরোধ করে না-তবে সংক্রমণকাল ছোট করতে পারে। ত্রিশের পরে স্ট্রেস, ঘুম কম হওয়া, বা দূষণের প্রভাব বাড়ায় ভিটামিন সি-এর চাহিদা। এটি ত্বকের কোলাজেন গঠন, আয়রন শোষণ এবং সেল মেরামতের জন্যও সহায়ক।


৪. আয়রন
শক্তি, অক্সিজেন পরিবহন, এমনকি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও আয়রন অত্যাবশ্যক। তবে অতিরিক্ত আয়রন শরীরে সঞ্চিত হয়ে ক্ষতির কারণ হতে পারে। যারা ত্রিশে পা দিয়ে ক্লান্তি, মাথাব্যথা বা ফ্যাকাশে ভাব অনুভব করছেন, তারা আগে রক্ত পরীক্ষা করে আয়রনের মাত্রা যাচাই করে নেবেন। বিশেষ করে নারীরা, নিরামিষভোজীরা বা হজম সমস্যা যাদের রয়েছে-তাদের জন্য এটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।


৫. প্রোটিন পাউডার
ত্রিশের পর শরীর স্বাভাবিকভাবেই মাসল মাস হারাতে শুরু করে-যাকে বলে সারকোপেনিয়া। ফলে শুধু ওয়ার্কআউট নয়, বরং শরীরের গঠন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং বিপাকক্রিয়ার জন্যও প্রোটিন অপরিহার্য। যারা সুষম খাবার পান না বা নিয়মিত খাবার মিস করেন, তাদের জন্য ক্লিন হুই বা প্ল্যান্ট-বেসড প্রোটিন পাউডার কার্যকর হতে পারে।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ