শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
খেলাফত মজলিস রিয়াদ মহানগরী শাখার তরবিয়তি মজলিস দেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা তালেবান সরকারের নিষিদ্ধের তালিকায় মওদুদীর বই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা পর্তুগালের যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৪ দালাল ধরে গিয়েছিলেন ইরাকে, ময়লার ভাগাড়ে তিন টুকরায় মিলল লাশ দক্ষ কর্মীদের ভিসা ফি ১,৫০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করলেন ট্রাম্প নোয়াখালীতে অটোরিকশা উল্টে প্রাণ গেল নারীর ,আহত-৪ ইসলামী ছাত্র মজলিস সিলেট মহানগর, জেলা ও শাবিপ্রবি’র সহযোগী সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের সভাপতি নাসির উদ্দিন এডভোকেট এর ইন্তেকাল

জনতার ফয়েজ ভাইকে মেয়র ঘোষণা করুন!


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগ্রহিত

পলাশ রহমান

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ছিলেন সৈয়দ ফয়জুল করীম বা জনতার ভয়েজ ভাই। তার প্রতি যে অবিচার হয়েছে, তা কারোরই অজানা নয়। পতিত ফ্যাসিবাদীরা শুধু ভোট ডাকাতি ও সহিংসতা নয়, তারা ফয়েজ ভাইকে শারীরিকভাবেও আহত করেছিল।

রক্তাক্ত অবস্থায় ফয়েজ ভাই কসম করেছিলেন, ফ্যাসিনাকে না হটিয়ে ঘরে উঠবেন না। তিনি কথা রেখেছেন। ফ্যাসিনার পতনদাবিতে যখন সারাদেশ উত্তাল ছিল, ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ মরছিল প্রতিদিন, ফ্যাসিনা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী রক্ত নেশায় উন্মাদ হয়ে গিয়েছিল, ঠিক তখনই জাতীয় নেতা হিসেবে 'ফয়েজ ভাই' প্রথম রাজপথে নেমেছিলেন। তার আগে কোনো দলের জাতীয় নেতা প্রকাশ্যে রাজপথে নামেনি ওই আন্দোলনে। তিনি দলীয় ব্যানার নিয়ে আন্দোলনকারীদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। একদফা ঘোষণা করেছিলেন। গণভবন দখলের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

একবার ভাবুন তো- যদি কোনো উপায়ে ফ্যাসিনার পতন আন্দোলন ব্যার্থ হতো, দলীয়ভাবে বাংলাদেশের কোন দলটি সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের মুখে পড়তো? কোন বড় নেতা সবার আগে রক্তখেকো ফ্যাসিনার টার্গেট হতো?

দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে ফয়েজ ভাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। ন্যায়সঙ্গতভাবে তাকে মেয়র ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।

আমরা দেখছি, আদালত ফয়েজ ভাইর মামলার রায় দিতে গড়িমসি করছে। অথচ একই রকম পরিস্থিতিতে ঢাকায় এবং চট্টগ্রামে দুজন প্রার্থীকে আদালত দ্রুত মেয়র ঘোষণা করেছে। তাহলে কি ন্যায়বিচার এখনো দলীয় পরিচয়ে বিভক্ত? এখনো ফ্যাসিনামলের ভূতমুক্ত নয়?

দেশের অন্যান্য জায়গার ভোটের মতো বরিশালেও ফ্যাসিনারা ভোট ডাকাতি করেছিল। ভোট চলাকালে প্রার্থী ফয়েজ ভাইকে আহত করেছিল। ফ্যাসিনা খেদাও আন্দোলনে যার অবদান অনেকের আগে, যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ নেই, সন্ত্রাসের অভিযোগ নেই, শিক্ষিত মানুষ, তাকে মেয়র ঘোষণা করতে এতো টালবাহানা কিসের?

আমরা শুনতে পাচ্ছি নানা দিক থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, ফয়েজ ভাইকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা চলছে। এর কিছু আলামতও প্রকাশ পেয়েছে। যেমন, সরকারের একজন উপদেষ্টা বলেছেন, আদালতের রায়ে মেয়র হওয়া তার পছন্দ নয়।

উপদেষ্টা সজীব এ কথা বলে পরিষ্কারভাবে আদালতের রায়কে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। তার এই কথার পরে আদালত স্বাধীনভাবে রায় ঘোষণা করতে বিব্রত হবে। এখানে লক্ষণীয় হলো- সজীব ঢাকা এবং চিটাগাংয়ে রায় ঘোষণার আগে কোনো কথা বলেননি। বলেছেন, ফয়েজ ভাইর রায় ঘোষণার আগে।

সজীবের বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। তিনি নাকি কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট বোঝেন না! ভুল করে ঠিকাদারির লাইন্সে করেছেন! যে শিক্ষক কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট বোঝেন না তিনি শিক্ষক থাকেন কী করে? বিষয়টি এতো সহজে মাফযোগ্য হয় কী করে? এ বিষয়ে সঠিক দতন্ত হওয়া উচিত। তিনি কীভাবে প্রধান শিক্ষক হয়েছেন তাও খতিয়ে দেখা উচিত।

আমি মনে করি, আদালতের উচিত বিলম্ব না করে বরিশালের প্রকৃত বিজয়ী সৈয়দ ফয়জুল করীমকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করা। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, না হলে দেশের মানুষ ফ্যাসিনামলের আদালত আর ন্যায়বিচারের আদালত আলাদা করতে পারবে না।

লেখক: ইতালি প্রবাসী সাংবাদিক ও অ্যাকটিভিস্টি

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ