সূরা কাহফ কুরআনের ১৮তম সূরা। এতে চারটি যুগান্তকারী ঘটনা বর্ণিত হয়েছে—যেগুলো থেকে ঈমান, ধৈর্য, tawakkul (আল্লাহর উপর নির্ভরতা), জ্ঞান ও কিয়ামতের শিক্ষা পাওয়া যায়। কিন্তু জুমার দিন এই সূরাটি পাঠ করার পেছনে রয়েছে অসাধারণ ফজিলত ও রহমত, যা হাদীসে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত।
সূরা কাহফ পড়ার ফজিলত:
১. নূরের আলো দিয়ে পুরো সপ্তাহ আলোকিত হয়ে যায়
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:
"যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা কাহফ পাঠ করবে, তার জন্য দুই জুমার মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত একটি নূর উদ্ভাসিত থাকবে।" সহীহুল জামে, হাদীস: ৬৪৭০
এই আলো আক্ষরিকও হতে পারে, আত্মিকও হতে পারে—যা ঈমানদারকে পথ দেখায়, চিন্তায় পরিশুদ্ধতা আনে।
২. দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাবেন
নবীজী ﷺ আরও বলেন:
"যে ব্যক্তি সূরা কাহফ-এর প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ রাখবে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে।" সহীহ মুসলিম: ৮০৯
দাজ্জালের ফিতনা হবে চরম ভয়ানক ও বিভ্রান্তিকর। সূরা কাহফ দাজ্জালের মিথ্যা থেকে মুমিনকে রক্ষা করার আত্মিক শক্তি জোগায়।
৩. চিন্তাশীল ঈমান ও বিশ্বাস দৃঢ় করে
সূরা কাহফের প্রতিটি গল্পে আছে চিন্তার খোরাক:
- গুহাবাসী যুবকরা ঈমান বাঁচাতে পরিবেশ ছাড়েন
- মুসা আ. ও খিজির আ.-এর ঘটনা: আল্লাহর হিকমত বোঝার শিক্ষা
- ধনী-গরিবের গল্পে অহংকারের পরিণতি
- যুলকারনাইন: নেতৃত্ব, ইনসাফ ও সীমানা রক্ষা
এই আয়াতগুলো বারবার পড়লে, একজন মুসলিমের অন্তরে ঈমান জাগে এবং সঠিক-বেঠিকের বিবেচনা তৈরি হয়।
কখন পড়া উত্তম?
জুমার দিন ফজরের পর থেকে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত যেকোনো সময়ে সূরা কাহফ পড়া সুন্নত।
অনেকে জুমার রাতে (বৃহস্পতিবার সূর্যাস্তের পর) থেকেও পড়েন, সেটিও অনেক ফকীহ বৈধ বলে মানেন।
এনএইচ/