শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
তুরস্কের যাচ্ছেন হাফেজ্জি হুজুর রহ সেবার নেতৃত্ববৃন্দ ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা কমাতে মধ্যস্থতা করতে চায় ইরান  ভারত হামলা করলে ‘সর্বাত্মক যুদ্ধের’ হুমকি পাকিস্তানের আখাউড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত ​​বইবে : বিলাওয়াল ভুট্টো হজের সময় ভুয়া ক্যাম্পেইনে জড়িতদের ধরছে সৌদি জামায়াত-শিবিরের প্রশংসা, সন্তোষ শর্মা ইস্যুতে যে ‘নসিহত’ রফিকুল মাদানীর গাজার শিশুরা এখন গল্প শোনে না, শোনে যুদ্ধ আর ক্ষুধার আর্তনাদ পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ । বেশি ক্ষতি হবে এয়ার ইন্ডিয়ার মতো বড় সংস্থার  ভারত-পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে আবারও গুলি বিনিময়

ঘরকে শয়তানের প্রভাবমুক্ত রাখার দোয়া আমল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

শয়তান মানুষের চিরশত্রু। যে শত্রুর ব্যাপারে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের সতর্ক করেছেন। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘হে মানুষ, নিশ্চয়ই আল্লাহর ওয়াদা সত্য; অতএব দুনিয়ার জীবন যেন তোমাদের কিছুতেই প্রতারিত না করে; আর বড় প্রতারক (শয়তান) যেন তোমাদের আল্লাহর ব্যাপারে প্রতারণা না করে। নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের শত্রু।

অতএব, তাকে শত্রু হিসেবে গণ্য কোরো। সে তার দলকে শুধু এ জন্যই ডাকে, যাতে তারা জ্বলন্ত আগুনের অধিবাসী হয়। (সুরা : ফাতির, আয়াত : ৫-৬)
সে সব সময় মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। মানুষকে আল্লাহর ইবাদত থেকে দূরে সরানোর চেষ্টা করে।

কখনো কখনো ইবাদতে বিঘ্ন ঘটিয়ে তাদের ইবাদতকে নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করে। কখনো শয়তান মানুষের ঘরে প্রবেশ করেও বিভিন্ন রকম অনিষ্ট সাধন করে। ঘরকে শয়তানের প্রভাবমুক্ত রাখতে নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত করা, কিছু নফল নামাজ ঘরে আদায় করা, ঘরে প্রবেশ ও প্রস্থানের সময় আল্লাহর স্মরণ করা। কারণ এতে শয়তানের জন্য ঘরে প্রবেশ করা কঠিন হয়ে যায়।

জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সা.-কে বলতে শুনেছেন, ‘যখন কোনো ব্যক্তি তার ঘরে প্রবেশ এবং খাবার গ্রহণের সময় আল্লাহর নাম স্মরণ করে, তখন শয়তান হতাশ হয়ে (তার সঙ্গীদের) বলে, তোমাদের (এখানে) রাত্রি যাপনও নেই, খাওয়াও নেই।

আর যখন সে প্রবেশ করে এবং প্রবেশকালে আল্লাহর নাম স্মরণ না করে, তখন শয়তান বলে, তোমরা থাকার স্থান পেয়ে গেলে। আর যখন সে খাবারের সময় আল্লাহর নাম স্মরণ না করে, তখন সে (শয়তান) বলে, তোমাদের নিশি যাপন ও রাতের খাওয়ার আয়োজন হলো।’ (মুসলিম, হাদিস : ৫১৫৭)

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেছেন, ‘যখন সন্ধ্যা হয়, তখন তোমাদের সন্তানদের ঘরে আটকে রাখো। কেননা এ সময় শয়তানরা ছড়িয়ে পড়ে।

তবে রাতের কিছু অংশ অতিক্রম করলে তখন তাদের ছেড়ে দিতে পারো। আর ঘরের দরজা বন্ধ করবে। কেননা শয়তান বন্ধ দরজা খুলতে পারে না। আর তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে তোমাদের মশকের মুখ বন্ধ করবে এবং আল্লাহর নাম নিয়ে তোমাদের পাত্রগুলোকে ঢেকে রাখবে, কমপক্ষে পাত্রগুলোর ওপর কোনো বস্তু আড়াআড়ি করে রেখে। আর (শয্যা গ্রহণের সময়) তোমরা তোমাদের প্রদীপগুলো নিভিয়ে দেবে।’ (৫৬২৩)
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা ঘরগুলোকে কবরস্থান বানিয়ো না, যে ঘরে সুরা বাকারা পাঠ করা হয়, শয়তান সে ঘর থেকে পলায়ন করে।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৭০৯)

 ঘরে প্রবেশের সময় এ দোয়া পড়া-

بِسْمِ اللهِ وَلَجْنَا وَ بِسْمِ اللهِ خَرَجْنَا وَ عَلَى اللهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا

উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লাহি ওলাজনা ওয়া বিসমিল্লাহি খারাজনা, ওয়া আলাল্লাহি রাব্বিনা তাওয়াক্কালনা।’ (আবুদাউদ)

এ ছাড়া ঘরকে শয়তানের প্রিয় জিনিস থেকে মুক্ত রাখতে পারলেও শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়ার আশা করা যেতে পারে। পবিত্র কোরআনে শয়তানের প্রিয় জিনিসগুলোর ব্যাপারে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, প্রতিমা-বেদি ও ভাগ্যনির্ধারক তীরসমূহ তো নাপাক শয়তানের কর্ম। সুতরাং তোমরা তা পরিহার করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৯০)

মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে শয়তানের অনিষ্ট থেকে হেফাজত করুন। 

এনএ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ