শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
খেলাফত মজলিস রিয়াদ মহানগরী শাখার তরবিয়তি মজলিস দেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা তালেবান সরকারের নিষিদ্ধের তালিকায় মওদুদীর বই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা পর্তুগালের যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৪ দালাল ধরে গিয়েছিলেন ইরাকে, ময়লার ভাগাড়ে তিন টুকরায় মিলল লাশ দক্ষ কর্মীদের ভিসা ফি ১,৫০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করলেন ট্রাম্প নোয়াখালীতে অটোরিকশা উল্টে প্রাণ গেল নারীর ,আহত-৪ ইসলামী ছাত্র মজলিস সিলেট মহানগর, জেলা ও শাবিপ্রবি’র সহযোগী সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের সভাপতি নাসির উদ্দিন এডভোকেট এর ইন্তেকাল

যে আমল আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

একজন সন্তান সামর্থ্যবান হওয়ার পর তার প্রধান দায়িত্ব হলো মা-বাবার প্রতি যত্ন নেওয়া, তাদের দেখভাল করা। যে সন্তান সামর্থ্যবান হওয়ার পর মায়ের ভরণ-পোষণের ব্যাপারে গুরুত্ব দেবে, তার ব্যাপারে হাদিসে ফজিলতের কথা এসেছে।

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, আমি নবী সা. জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কোন কাজ আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়?’ নবী সা. বলেন, সময়মতো নামাজ আদায় করা। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘এরপর কোন আমল?’ তিনি বলেন, মা-বাবার সেবা করা।

আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘এরপর কোন আমল?’ তিনি বলেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। (বুখারি, হাদিস : ৫২৭)
ওলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে একমত যে সন্তান যদি সামর্থ্যবান হয় এবং মা-বাবা যদি গরিব হয়, তাহলে তাঁদের জন্য খরচ করা সন্তানের ওপর ওয়াজিব। (আল মুগনি ১১/৩৭৫)

আর যদি পিতামাতা সচ্ছল হয় কিংবা সন্তান-সন্ততি সামর্থ্যবান না হয়, তাহলে মা-বাবার ভরণ-পোষণ দেওয়া ওয়াজিব নয়। যদিও এ ক্ষেত্রে উত্তম হলো, কষ্ট হলেও যথাসাধ্য মা-বাবারও ভরণ-পোষণের খরচ চালিয়ে যাওয়া।
(তাবঈনুল হাকায়েক ৩/৬৪; রদ্দুল মুহতার ২/৬৭৮)

সুতরাং মা-বাবার প্রতি বিবাহিত নারীর করণীয় হলো :

১. সব সময় মা-বাবার সঙ্গে সদাচারণ এবং তাঁদের যথাসাধ্য খেদমত করবে। তাঁদের খোঁজখবর নেবে।

২. নিজস্ব অর্থ যেমন মোহরানা বাবদ প্রাপ্ত, উপার্জিত সম্পদ ইত্যাদি থেকে যথাসাধ্য মা-বাবার জন্য খরচ করবে।

৩. নিজের সামর্থ্য না থাকলে এবং মা-বাবার একান্ত প্রয়োজন হলে ঘরোয়া পরিবেশে শিক্ষকতা করে বা কোনো হস্তশিল্প কিংবা হাঁস-মুরগি পালন করে নিজের উপার্জন থেকেও সহযোগিতা করা যায়।

ইসলামের সীমারেখা মেনে বৈধ পেশা থেকে উপার্জন করে মা-বাবার জন্য কিছু করা যায়।
৪. স্বামীকে মহব্বতের সঙ্গে শ্বশুর-শাশুড়ির খেদমত করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ