প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির পদত্যাগের পরও উত্তাল নেপালের রাজপথ। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) তীব্র বিক্ষোভের মুখে তিনি পদত্যাগে বাধ্য হলেও সহিংসতা থামেনি। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, অলি নেপাল ছেড়ে দুবাই যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
পদত্যাগের আগেই রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন স্থানে পার্লামেন্ট ভবন, রাজনৈতিক দলের কার্যালয় ও মন্ত্রীদের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা। তিনি সরে দাঁড়ানোর পরও এ সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে জনগণকে সংযম ও শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল। অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে। তাই আমরা সবাইকে শান্ত থাকার, প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি এড়ানোর আহ্বান জানাই। পাশাপাশি সব পক্ষকে রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে দ্রুত ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে এগোনোর অনুরোধ করছি।”
এদিকে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার পর সেনাপ্রধান অলিকে ক্ষমতা ছাড়তে বলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, অলি সেনাপ্রধানকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার অনুরোধ করেন। তবে সেনাপ্রধান স্পষ্ট জানিয়ে দেন—শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পরই তিনি দায়িত্ব নেবেন।
পরে দেশ ছাড়ার জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা চান অলি। নেপালি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, চিকিৎসার অজুহাতে তিনি দুবাইয়ে যেতে পারেন। এ জন্য হিমালয়া এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ বিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট
এমএইচ/