শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

তুরস্কে পালিত হলো ১০৩তম বিজয় দিবস, আতাতুর্কের সমাধিতে এরদোয়ানের শ্রদ্ধা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

১৯২২ সালে গ্রিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয়ের পর আজ শনিবার (৩০ আগস্ট) তুরস্ক তাদের ১০৩তম বিজয় দিবস উদযাপন করছে। মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের নেতৃত্বে কুতাহিয়ার দুমলুপিনার অঞ্চলে সংঘটিত সেই যুদ্ধ তুরস্কের স্বাধীনতার ভিত্তি সুদৃঢ় করেছিল।

২৬ আগস্ট শুরু হওয়া সামরিক অভিযানের ধারাবাহিকতায় ৩০ আগস্ট অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়, যা গ্রিক দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়ে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামকে নতুন মাত্রা দেয়।

এই দিনে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান উচ্চপদস্থ রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজধানী আঙ্কারার অনিতকবিরে অবস্থিত আতাতুর্কের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বিজয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এ দিনটিকে তুর্কি জাতির "স্বাধীনতা, দৃঢ়তা ও অবিচল স্বাধীনতার প্রতীক" হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “৩০ আগস্ট বিজয় দিবস আমাদের ইতিহাসের এক সোনালি অধ্যায়। এটি কেবল একটি সামরিক বিজয় নয়, বরং জাতির অদম্য ইচ্ছাশক্তি, বিশ্বাস ও বীরত্বের প্রতিচ্ছবি।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, সেনাবাহিনীর দেশপ্রেম ও জাতির ঐক্যবদ্ধ শক্তির মাধ্যমে অর্জিত এই জয় দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে দিয়েছে, প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ উন্মোচন করেছে এবং সমগ্র জাতির জন্য চিরন্তন স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এরদোয়ান বলেন, “এটি এমন এক বিজয়, যা শুধু তুর্কি জাতিকেই নয়, বিশ্বের সব নিপীড়িত জাতিকেও প্রেরণা জুগিয়েছে। এই জয় প্রমাণ করেছে, তুর্কি জাতি কখনো দাসত্ব মেনে নেয় না এবং স্বাধীনতার প্রশ্নে কোনো আপস করে না।”

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি দায়িত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আজ আমাদের কর্তব্য হলো ৩০ আগস্টের স্বাধীনতার মশালকে ঐক্য, সংহতি ও উন্নতির মাধ্যমে আরও উজ্জ্বল করা। পূর্বপুরুষদের ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া মাতৃভূমিকে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করা আমাদের অঙ্গীকার।”

প্রসঙ্গত, ১৯২২ সালের ঐতিহাসিক বিজয়ের পর বছরের শেষ নাগাদ তুর্কি অঞ্চল থেকে বিদেশি সেনাদের বিতাড়িত করা হয়। এর এক বছর পর, ১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের জন্ম হয়।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ