মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান অধ্যাপক আখতার ফারুক রহ.-এর জীবন-কর্ম আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হেফাজতের মহাসমাবেশ সফলে সাভারে উলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

হাসান নাসরুল্লাহর জানাজায় ব্যাপক জনসমাগম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসরায়েলি হামলায় নিহত লেবাননের সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরুল্লাহর জানাজায় অংশ নিতে লাখ লাখ মানুষের ঢল নেমেছে। নিহতের প্রায় পাঁচ মাস পর রবিবার দেশটির রাজধানী বৈরুতে তার জানাজায় লাখো মানুষের ঢল নামে।

ইসরায়েলের সঙ্গে কয়েক দশকের সংঘাতের মাঝে শিয়া মুসলিম গোষ্ঠীর নেতৃত্বদানকারী নাসরুল্লাহকে হত্যার ঘটনায় ব্যাপক দুর্বল হয়ে পড়েছে হিজবুল্লাহ। ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যেও পরিবর্তন ঘটেছে।

রবিবার(২৩ ফেব্রুয়ারি) হিজবুল্লাহ-নিয়ন্ত্রিত বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের একটি স্টেডিয়ামে হাসান নাসরুল্লাহর পাশাপাশি গোষ্ঠীটির নিহত অন্যান্য নেতাদের ছবি ও হিজবুল্লাহর পতাকা হাতে হাজার লোকজনকে সমবেত হতে দেখা যায়। জানাজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার প্রায় কয়েক ঘণ্টা আগেই ৫৫ হাজার আসনের ক্যামিল চেমাউন স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়াম কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় স্টেডিয়ামের বাইরেও হাজার হাজার জনতাকে ইসরায়েল-বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি, শিয়া রাজনীতিবিদ ও মিলিশিয়া কমান্ডারসহ ইরাকি একটি প্রতিনিধি দল এবং ইয়েমেনের হুথিদের প্রতিনিধি দলও জানাজায় অংশ নেন। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শত শত প্রতিনিধি হিজবুল্লাহর নিহত ওই নেতার জানাজায় অংশ নিয়েছেন। 

লেবাননের সূত্রগুলো বলেছে, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর শীর্ষনেতার জানাজার মাধ্যমে শক্তি প্রদর্শনের লক্ষ্য রয়েছে হিজবুল্লাহর। গত বছরের যুদ্ধে হিজবুল্লাহর বেশিরভাগ নেতা ও হাজার হাজার যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ লেবাননের বেশিরভাগ এলাকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

সিরিয়ায় হিজবুল্লাহর মিত্র বাশার আল-আসাদের পতনে গোষ্ঠীটির ওপর ইসরায়েলি হামলার প্রভাব ভয়াবহ হয়েছে। ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠীর সামরিক ও অন্যান্য রসদ সরবরাহের অন্যতম প্রধান পথ ছিল সিরিয়া।

প্রায় পাঁচ মাস আগে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হাসান নাসরুল্লাহকে ১৯৯৭ সালে হিজবুল্লাহর পক্ষে লড়াইয়ের সময় প্রাণ হারানো তার ছেলে হাদির পাশে সাময়িকভাবে দাফন করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারে বিলম্ব হওয়ায় হাসান নাসরুল্লাহর জানাজা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

চুক্তি অনুযায়ী, লেবাননের দক্ষিণের বেশিরভাগ এলাকা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নিলেও এখনও কিছুসংখ্যক সৈন্য পাঁচটি অবস্থানে মোতায়েন রয়েছে। রবিবার লেবাননের দক্ষিণের একটি এলাকায় ব্মিান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের কর্মকাণ্ড শনাক্তের পর তাদের অবস্থান লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।

এনআরএন/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ