শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫ ।। ৬ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২৪ জিলহজ ১৪৪৬

শিরোনাম :
হজযাত্রীর কোটা না বাড়ানোর অনুরোধ ধর্ম উপদেষ্টার সংসদে আসন বৃদ্ধি নারীর মর্যাদার পরিপন্থী: মাওলানা এবিএম জাকারিয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে ইরানের জনগণ জামায়াতে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে সক্ষম: নূরুল ইসলাম বুলবুল ইসরায়েলে এবার নতুন মিসাইল ছুড়ল ইরান  ইরান-ইসরায়েল নিয়ে এরদোয়ান ও জার্মান চ্যান্সেলরের ফোনালাপ ‘বিএনপি না চাইলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে না এটা অযৌক্তিক’ রাশিয়ার দাবি: ইরান বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আক্রমণ ছিল অযৌক্তিক ইসরায়েলকে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি, ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে রুশ কর্মীদের অবস্থান বাংলাদেশে আরো সাতজনকে পুশ-ইন বিএসএফের, বিজিবির হাতে আটক

পাখিদের পিপাসা নিবারণে গাছে গাছে পানির পাত্র ঝুলাচ্ছে তারা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাসুম পারভেজ শাকিল

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহে মানুষ ও প্রাণিকুল প্রায় বিপন্ন। মানুষের পাশাপাশি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পশু-পাখি। প্রাণিকুলেও পড়েছে হাহাকার। বিষয়টি নজর থেকে সরাইনি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পরিবেশবাদী সংগঠন বন্য পাখি সুরক্ষা ক্লাবের। এ প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে পাখিদের জন্য খোলা পাত্রে পানির ব্যবস্থা করছে সংগঠনটি।

সংগঠনটির উদ্যোগে গত ৭ দিন ধরে পাখিদের পিপাসা নিবারণের জন্য মহেশপুরের বিভিন্ন গ্রামের বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন স্থানে খোলা পাত্রে পানি রাখার ব্যবস্থা করছে। পাখিরা সহজে যেন পানি পান করতে পারে তার জন্য প্রতিদিন সকালে পাত্রে পানি পূর্ণ করে রাখা হচ্ছে। পুকুর-জলাশয় ও খাল-বিলে যত দিন পানি না জমছে, তত দিন তাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

পাখি বাঁচাও, প্রকৃতি বাঁচাও এ স্লোগানকে সামনে রেখে পাখির নিরাপদ আবাসস্থল নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করছে পরিবেশবাদী সংগঠন বন্য পাখি সুরক্ষা ক্লাব। সংগঠনটি উপজেলায় ২০১৬ সাল থেকে তাদের পদযাত্রা শুরু করে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে পাখির জন্য পানির পাত্রের ব্যবস্থা শুরু করেছেন তারা। প্রতিদিন গড়ে গাছে ৩০টি করে পানির পাত্র বাঁধছেন। উপজেলার মহেশ পুর বিভিন্ন এলাকায় এ পাত্র বেঁধে দেওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। এ পর্যন্ত ২০০টি পানির পাত্রের ব্যবস্থা করেছেন তারা। ওই ইউনিয়নের ঘোপপাড়া গ্রামে ৬০টি, দরিবিন্নি ২০টি, রাধানগরে ৪০টি, সাবেক নিত্যনন্দপুরে ৪০টি ও সাবেক বিন্নিতে ৪০টি। তাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত আছে বলেও জানান সংগঠনটির সদস্যরা।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শফিকুর রহমান বিপ্লব জানান, এ বছর তীব্র গরম। পাশাপাশি পানির সংকট রয়েছে। মাঠে-খালে-বিলে কোথাও পানি নেই। পাখিরাও পানির জন্য কষ্ট পাচ্ছে। তাই পাখিদের জন্য পানির ব্যবস্থা করছেন। গত বৃহস্পতিবার থেকে গাছে গাছে পানির কৌটা বাঁধতে শুরু করেছেন। একটি কৌটা বাঁধতে ২০ টাকা খরচ হচ্ছে। বাজারে বিভিন্ন জিনিসপত্র রাখা হয় যে কৌটায়, সেটাই তিনি পানির পাত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন। খরচ কমাতে পুরোনো পানির বোতল কেটে গাছে ঝুলিয়ে দেবেন। খাল, বিল, নদী-নালায় পানি না জমা পর্যন্ত তাদের সংগঠন এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ