বাংলাদেশ কওমী ছাত্রপরিষদের উদ্যোগে প্রথম জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (৩০ মে) রাজধানীর একটি মিলনায়তনে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন ছাত্রপরিষদের কেন্দ্রীয় আহবায়ক মাওলানা আব্দুর রহিম ও সদস্য সচিব হাফেজ হেলাল উদ্দীন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রপরিষদের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও জামিয়া আরাবিয়া দারুল উলুম দেওভোগ মাদরাসার মুহতামিম শায়খুল হাদীস মাওলানা আবু তাহের জিহাদী। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ কওমী ছাত্রপরিষদের এ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। যারা কুরআনের হিফজ করছে, তারাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রকৃত উত্তরাধিকারী। ইলমই একমাত্র সম্পদ, যা কবরেও সঙ্গ দেয় এবং আখিরাতে উপকারে আসে।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন শায়খ আবু নোমান মাদানী , বিভাগীয় প্রধান, আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া, যাত্রাবাড়ী; মুফতি মিঞা মো. উমর কাজী ও মুফতি আ.স.ম. আল-আমিন, সাবেক কেন্দ্রীয় আহবায়কদ্বয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মোকাররম হোসেন শামীম, মো. জাফর উল্লাহসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, হিফজুল কুরআনের মতো মহৎ উদ্যোগ জাতীয় পর্যায়ে আরও বিস্তৃত করা প্রয়োজন। তারা মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও কুরআনভিত্তিক জীবন গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উল্লেখ্য, দেশের আটটি বিভাগে বাছাই পর্ব শেষে জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে ক ও খ গ্রুপে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন:
ক গ্রুপ:
১ম - মো. মুসলিম (ঢাকা)
২য় - আদনান সামী (রংপুর)
৩য় - মো. আব্দুল্লাহ (ঢাকা)
খ গ্রুপ:
১ম - আব্দুল্লাহ সালমান (চট্টগ্রাম)
২য় - রায়হান আহমদ (সিলেট)
৩য় - নাজিব আহমেদ (ঢাকা)
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সেরা ২৮ জন প্রতিযোগীকে পুরস্কৃত করা হয়। এর মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানপ্রাপ্তদেরকে যথাক্রমে ২০,০০০/-, ১৫,০০০/- এবং ১০,০০০/- টাকা প্রদান করা হয়। ৪র্থ থেকে ১০ম স্থান পর্যন্ত প্রতিযোগীরা ৩,০০০/- এবং ১১তম থেকে ১৫তম স্থানপ্রাপ্তরা ২,০০০/- টাকা করে পুরস্কার লাভ করেন।
অনুষ্ঠানটি সভাপতির সমাপনী বক্তব্য ও দোয়ার মাধ্যমে শেষ হয়।
এসএকে/