মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১১ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

ঢাকা আলিয়ার লাইব্রেরিতে দুর্লভ পাণ্ডুলিপি দেখে মুগ্ধ বিদেশি দুই গবেষক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

দেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়ার কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি পরিদর্শন করেছেন আন্তর্জাতিক দুই গবেষক—ড. থমাস নিউবল্ড ও ড. শাহিন পিশবিন। মঙ্গলবার (২০ মে) পরিদর্শনকালে তারা লাইব্রেরির দুর্লভ পাণ্ডুলিপি ও সমৃদ্ধ সংগ্রহ দেখে মুগ্ধ হন। তারা লাইব্রেরি ঘুরে দেখেন এবং গবেষণায় ব্যস্ত সময় কাটান।

এই দুই গবেষক বাংলা অঞ্চলের ইতিহাস, সংস্কৃতি, আরবি-ফারসি-উর্দু সাহিত্য এবং ইসলামি শিক্ষার প্রাচীন পাণ্ডুলিপি নিয়ে গবেষণা করছেন। তাদের মতে, এই লাইব্রেরির সংরক্ষিত দুর্লভ পাণ্ডুলিপি দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক ও বৌদ্ধিক ঐতিহ্য অনুধাবনের এক অনন্য উৎস।

ড. থমাস নিউবল্ড একজন ইতালীয় নাগরিক। বর্তমানে তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। ড. শাহিন পিশবিন ইরানের নাগরিক এবং বর্তমানে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কুইন্স কলেজে পোস্টডক্টরাল গবেষক হিসেবে গবেষণা করছেন। তারা মূলত আরবি, ফারসি, উর্দু ও ইতিহাসনির্ভর সাহিত্যের পাণ্ডুলিপি নিয়ে কাজ করছেন।

ড. নিউবল্ড বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহিদুল হাসান আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী লাইব্রেরির বিষয়ে জানান এবং তিনি নিজেই আমাদের এখানে নিয়ে আসেন। লাইব্রেরিতে প্রবেশ ও গবেষণার অনুমতি দেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আশরাফুল কবির।

ড. শাহিন পিশবিন বলেন, আমরা সাহিত্যের পাণ্ডুলিপিগুলো বেশি অধ্যয়ন করেছি। এখানে না এলে কখনোই জানতাম না যে বাংলাদেশে এমন সমৃদ্ধ একটি লাইব্রেরি আছে। পরিবেশ অত্যন্ত শান্ত, পরিপাটি এবং গবেষণার জন্য আদর্শ। সময় পেলে ভবিষ্যতেও এখানে আবার আসার ইচ্ছা আছে।

ড. নিউবল্ড বলেন, এখানে এমন অনেক পাণ্ডুলিপি রয়েছে যা আন্তর্জাতিক গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস, ইসলামি শিক্ষা ও সাহিত্য, আরবি-ফারসি সংস্কৃতি বিষয়ে যারা কাজ করছেন, তাদের জন্য এটি এক অমূল্য ভাণ্ডার।

 এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ