রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গতকাল ৯০ টাকায় বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ আজ (৪ নভেম্বর) ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে রবি মৌসুমের পেঁয়াজ আসতে দেরি হওয়া এবং ভারতের পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় চাহিদার তুলনায় জোগান কম দেখা যায়। এতে হু-হু করে বাড়ছে বাজারে এই পণ্যটির দাম।
ঢাকার মানিকনগর, মুগদা, গোপীবাগ ও ধলপুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, এসব বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকায়। মুদি দোকানগুলোতে ১০৫ টাকা থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি পেঁয়াজ। তবে এসব বাজারে ভ্যান গাড়িতে ১০০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে।
গোপীবাগ বাজারের আকরাম জেনারেল স্টোরের মালিক মো. আকরাম বলেন, ‘বাজারে পেঁয়াজের একটা কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। ভারতের পেঁয়াজ আমদানিও বন্ধ রয়েছে। দেশি পেঁয়াজ চাহিদা অনুযায়ী পাইকারি বাজারে না পাওয়ায় প্রতিদিন দাম বাড়ছে। তিন-চারদিন আগেও ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা দরে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। গতকালও ৯০ টাকায় বিক্রি করেছি। আজ সেটি ১১০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।’
এদিকে পাইকারি বাজারে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে, যা গত শুক্র-শনিবারও বিক্রি হয়েছে ৭২ থেকে ৮৫ টাকায়।
আড়তদাররা বলছেন, ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকায় দেশি পেঁয়াজের ওপর চাপ বাড়ছে। এছাড়া, রবি মৌসুমের পেঁয়াজ এখনো বাজারে যথেষ্ট না আসায় সংকট তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় আমদানি চালু না হলে বাজারে পেঁয়াজের দাম আরো বাড়তে পারে।
পেঁয়াজ চাষীরা বলছেন, এবছর বিভিন্ন জেলায় পেঁয়াজ রোপণ করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। এর ফলে রবি মৌসুমের পেঁয়াজ বাজারে আসতেও দেরি হচ্ছে। অন্যান্য বছর অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকেই রবি মৌসুমের পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করে। এ বছর অনেক জেলায় এখনো পেঁয়াজ জমি থেকে ওঠানোই সম্ভব হয়নি।
এমএম/