বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬ নড়াইল-২ এনপিপির চেয়ারম্যানকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ঢাকাস্থ বাজিতপুর-নিকলী উলামা পরিষদের মতবিনিময়, কর্মসূচি গ্রহণ মিসরে বাংলাদেশি ছাত্রদের সংগঠন ‘ইত্তিহাদ’-এর নতুন কমিটি দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের নিয়োগে ধর্ম উপদেষ্টার ডিও লেটার

খুলনায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন নেতার হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
মারা যাওয়া ইউশাহ

খুলনা নগরীর আড়ংঘাটা থানার গাইকুর গ্রাম থেকে হাত-পা বাঁধা ও গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ইউশাহ (১৭) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) লাশটি উদ্ধার হয়। নিহতের বাবা খায়রুজ্জামান ববি দাবি করেছেন, তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। তবে, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সে বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কিছুই জানাতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় আড়ংঘাটা থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

মারা যাওয়া ইউশাহ আড়ংঘাটা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খায়রুজ্জামান ববির ছেলে। তিনি নগরীর হাজী মহসিন কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের আড়ংঘাটা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ইউশাহ। 

জানা যায়, নিহত ইউশাহ’র বাবা খায়রুজ্জামান ও মা ঘটনার দিন দুপুর ২টার দিকে একটি দাওয়াতে অংশ নিতে বাড়ি থেকে বাইরে যান। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়িতে ফিরে গেট বন্ধ দেখতে পান তারা। অনেক চেষ্টা করে গেট খুলে বাড়িতে প্রবেশ করেন এবং ছেলেকে ডাকাডাকি করতে থাকেন। সাড়া শব্দ না পেয়ে খায়রুজ্জামান বাড়ির পেছনের জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে হাত- পা বাঁধা, চোখে গামছা, বাঁশের আড়ার সঙ্গে ছেলেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। দ্রুত ঘরের দরজা ভেঙে স্বজনদের সহায়তায় ছেলেকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইউশাহকে মৃত ঘোষণা করেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আল মামুন বলেন, গতকাল সোমবার বিকেলে বাবাসহ অন্য স্বজনরা গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ইউশাহ’র মৃতদেহ উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তাৎক্ষণিকভাবে আমরাও হাসপাতালে গিয়ে দেখি। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করি। এ ব্যাপারে সোমবার রাতেই আড়ংঘাটা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ দাফন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে কারণ উদঘাটনে সহজ হবে। তারপরও আমাদের তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

নিহত ইউশাহ’র বাবা খায়রুজ্জামানের অভিযোগ, আমার ছেলে আত্মহত্যা করেনি। কে বা কারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের খুলনা মহানগর শাখার সহ-সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের আড়ংঘাটা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিল মারা যাওয়া ইউশাহ। তার মৃত্যুর বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ