বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১৩ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মাদরাসা শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামান, আহত ১৫ শিক্ষাব্যবস্থার পচন দূর করতে শুধু কমিশন করে কোনো লাভ হবে না: পরিকল্পনা উপদেষ্টা জুলাই সনদ রাজনৈতিক ফাঁকা বুলি নয়, এর আইনি ভিত্তি চাই: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী গ্রিন টি না কি লাল চা, কোনটিতে উপকার বেশি আজ আল্লামা নিয়াজ মাখদূম খোতানী আত-তুর্কিস্তানী (রহ.) এর ওফাত বাংলাদেশ ব্যাংকের শরিয়া বোর্ডের সদস্য হলেন মুফতি ইউসুফ সুলতান খাগড়াছড়িতে হেফাজতে ইসলামের প্রতিবাদী মানববন্ধন অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বিএনপি হতাশ : সালাহউদ্দিন আহমদ উপজেলা মডেল মসজিদের কাজ শেষ হয়নি ৬ বছরেও ইমাম-খতিবরা সমাজকে আলোর পথ দেখান: এ্যানি

ধ্বংসযজ্ঞে ঝুঁকির মধ্যে গাজাবাসীর জীবন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মাদ শোয়াইব

গাজা শহরে বিস্তৃত ধ্বংসযজ্ঞের কারণে বহু আবাসিক ভবন ধ্বংসের পথে। উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলো এখন ঢালু ছাদ ও ঝুকপূর্ণ ভবনের মধ্যে বসবাস করছে। যেখানে প্রতিটি মুহূর্তে ধ্বংসের আশঙ্কা রয়েছে। জীবন-জীবিকা ও নিরাপত্তা বিপন্ন। শিশুদের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকি রয়েছে। এই পরিস্থিতি ফিলিস্তিনিদের মানবিক বিপর্যয়ের এক নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখা যাচ্ছে।

ইঞ্জিনিয়ারিং মতে কোনো ভবনের ফাউন্ডেশনে যদি কোনো বিচ্যুতি দেখা দেয়, তা মানে ভবনটি ধসে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। ভাবুন, গাজায় এখন কতগুলো ভবন আছে যেগুলো পতনের পথে! কারণ, এই বাড়ি ও ভবনগুলিতে প্রচুর বিস্ফোরক হামলা হয়েছে।

একটি আবাসিক ভবন রয়েছে, যার মোট দশটি তলা: তার মধ্যে পাঁচটি তলা মাটির নিচে, আর পাঁচটি তলা উপরে। এই ভবনে এখন বহু ফিলিস্তিনী বসবাস করছে কঠিন মানবিক পরিস্থিতির মধ্যে। কাহলুত পরিবার, যারা পূর্ব গাজা থেকে উচ্ছেদ হয়েছে, এখন এমন একটি ভবনের ঢালু ছাদের উপর বসবাস করছে, যা কখনো ধ্বংস হয়ে যেতে পারে—মোটামুটি একটি টাইম বোমার মতো।

একজন বাসিন্দা বললেন: “আমাদের ঘর ধ্বংস হয়েছে, আর কোথাও আশ্রয় পাইনি। এখানে একটি বড় বিল্ডিং আছে, সাত তলা সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত। আমরা এখন অষ্টম তলায় আছি। এটি অনেকটাই ঢালু। আমরা এখানে অনেক পরিশ্রম করি—পানি, খাবার বের করতে, সিঁড়ি ও ছাদ ঠিক করতে। আর আমাদের শিশুদের ব্যাপারে ভয় হয় যে তারা পড়ে যেতে পারে।”

ফিলিস্তিনিরা আগে ভয় করতেন বোমা তাদের মাথার উপড়ে আছেড়ে পড়ার আর এখন ভয় পান টাইম বোমা সদৃশ যে ভবনের মধ্যে থাকেন তা ধসে পড়ার। উদাহরণস্বরূপ, বেলাওয়ী পরিবারের বাড়ির ছাদ ধসে হয়েছে। এতে একজন নারী নিহত হয়েছে এবং অনেকে আহত। একজন বলেন:

“ছাদ দেখুন, সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি তা মজবুত করতে। আল্লাহ তাদেরকে রক্ষা করুন। আমি চাই আগামীকাল ছাদ পরিষ্কার করে আমরা নিরাপদে বসতে পারি।”

এই ছাদ ও ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনগুলো এখন ফিলিস্তিনিদের জন্য বড় বিপদের উৎস। এগুলোর কারণে নতুনভাবে মৃত্যুর ও আহতদের সংখ্যা বাড়তে পারে।

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ