মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জুলাই আন্দোলনের অগ্রসেনানী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ খুলনায় হাতপাখার সংসদ সদস্য প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির জরুরি বৈঠক সার্বিক উন্নয়ন ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই: হাফিজ ফখরুল ইসলাম ফরিদপুরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর প্রচারণার গেট ও ব্যানার ভাঙচুর  জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বরেই গণভোট দিতে হবে: এ টি এম মাছুম জামায়াত আমিরের আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যিনি খালেদা জিয়াসহ ৯ নারী পেলেন বিএনপির মনোনয়ন ২৩৭ আসনে বিএনপির ধানের শীষ পেলেন যারা নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলায় মতিউর রহমান আকন্দ নিন্দা বস্ত্রহীন ঘুমানোর হুকুম কী ?

এসব অগ্নিকাণ্ড নিছক দুর্ঘটনা নাকি গভীর ষড়যন্ত্র!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুনের ঘটনার পেছনে কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা নাকি ষড়যন্ত্র রয়েছে— এমন প্রশ্ন তুলেছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী। তিনি এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে তার ফেসবুক পেজে এক পোস্টে আজহারী লেখেন, এ দেশে অগ্নিকাণ্ড যেন এক অবিরাম চক্র— দুই-একদিন প্রতিবাদ, মানববন্ধন, মিছিল, গরম টকশো। তারপর আবার সবকিছু নিস্তব্ধ। ঠিক আগের মতোই! অগ্নিকাণ্ডের পর শোক, তারপর সেই চিরচেনা নীরবতা!

এই ইসলামি বক্তা বলেন, এগুলো কি নিছক দুর্ঘটনা? কেবল-ই অবহেলা আর অব‍্যবস্থাপনা? নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র? প্রথমে মিরপুর, তারপর চট্টগ্রাম ইপিজেড, আজ আবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে। আগুন যেন পিছু ছাড়ছে না। এ দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছে কি? প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের রহস্য খুঁজে বের করার সময় এখনই! সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। নিরপেক্ষ তদন্ত করুন। খতিয়ে দেখুন। যথাযথ ব্যবস্থা নিন।

কমেন্টে মাওলানা আজহারী লিখেন- সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনা ঘটছে, যা আমাদের জন্য এক অশনি সংকেত। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে সারা দেশের বিভিন্ন শিল্প-কারখানা, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, বাণিজ্যিক কেন্দ্রে আগুনের লেলিহান শিখা বারবার আঘাত হানছে। এসব ঘটনায় একদিকে যেমন মূল্যবান প্রাণহানি হচ্ছে, তেমনি অপরদিকে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো এবং সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

হ্যাঁ, এটি সত্য; অপরিকল্পিত নগরায়ণ, অপ্রতুল অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা, দাহ্য পদার্থের অবৈধ মজুদ, ত্রুটিপূর্ণ বিদ্যুৎ সংযোগ, গ্যাস লিকেজ এবং জনসচেতনতার অভাব; এই সবকিছুই মোটাদাগে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্য মোটা দায়ী। তবে, এভাবে একের পর এক সিরিয়াল অগ্নিকাণ্ড ঘটানোর মাধ্যমে স্থিতিশীল দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য এটি কোনো হীন ষড়যন্ত্রের অংশ কি না সেটিও গভীরভাবে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

হে আল্লাহ, আপনি আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশকে সকল ধরনের বালা-মুসিবত, বিশেষ করে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্যোগ থেকে হেফাজত করুন। আমাদের ধৈর্য ধারণ করার এবং এই বিপদ কাটিয়ে উঠে ঘুরে দাঁড়ানোর তাওফিক দিন।

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ