এদেশে দ্বীনের আলো বিলাতে এবং মানুষের মাঝে ইসলামের চর্চাকে সমৃদ্ধ করতে যুগ যুগ ধরে কাজ করছে কওমি মাদরাসাগুলো। মুসলিম জীবনের নানা বিষয়ের সমাধানের জন্য এসব মাদরাসায় রয়েছে স্বতন্ত্র গবেষণা বিভাগ। যেগুলো পরিচিত ‘ফতোয়া বিভাগ’ নামে। যুগ ও সময়ের চাহিদা পূরণে এ বিভাগে সমাধান হওয়া মাসয়ালা-মাসায়েল অফলাইনের পাশাপাশি এখন অনলাইনে মানুষ পেতে চায়। কিন্তু কী কারণে ঐতিহ্যবাহী এসব প্রতিষ্ঠান এদিক দিয়ে বহির্বিশ্বের তুলনায় এখনো পিছিয়ে? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন আওয়ার ইসলামের চিফ রিপোর্টার হাসান আল মাহমুদ। তার ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের আজ থাকছে ৩য় পর্ব-
(প্রথম পর্বের লিঙ্ক-  তথ্য প্রযুক্তিতে এখনো পিছিয়ে বাংলাদেশের ফতোয়া বিভাগগুলো!)
(দ্বিতীয় পর্বের লিঙ্ক-  ফতোয়া বিভাগগুলোর স্বতন্ত্র ওয়েবসাইট থাকা কেন প্রয়োজন)
গত পর্বের পর থেকে...
ফতোয়া বিভাগগুলোতে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার কেন প্রয়োজন? এ প্রসঙ্গে ঢাকার মিরপুর-১৪ অবস্থিত জামেউল উলুম মাদরাসার শিক্ষক মুফতি জুনাইদ বিন সিরাজ বলেন, ‘ঊনবিংশ শতাব্দী ছিল শিল্প বিপ্লবের যুগ। এখন বিংশ শতাব্দী হল তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। আজ বহির্বিশ্বের ইসলামি দুনিয়াও এদিক দিয়ে বেশ অগ্রসর। আমাদের দেশের ফতওয়া বিভাগগুলোও আদর্শ, উন্নত ও ব্যাপক ফলপ্রসূ হতে হলে এর বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, খুব সহজে বিভিন্ন মতন-শরাহ, কিতাব ও হাওয়ালা বের করতে মাকতাবায়ে শামেলা/কামেলা, সাধারণ জ্ঞান ও আধুনিক তথ্যাদি জানতে গুগল-ইউটিউব, ফতওয়া ও ডাটা আদান-প্রদানে ই-মেইল/ইয়াহু এবং আন্তর্জাতিক ফতওয়া বিভাগগুলোর সাথে কমিউনিকেশনসহ বহুবিধ সুবিধাদি গ্রহণের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা এবং এর উপযুক্ত ব্যবহার খুবই প্রয়োজন।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘উন্নত মুসলিম দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে সমৃদ্ধ ফতওয়া বিভাগ ও গবেষণা বিভাগ কম। যে কয়টা আছে সেগুলোও বহির্বিশ্বের বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে। ভালো মানের কোনো ওয়েবসাইট নেই, অনলাইন সেবা নেই। দারুল উলুম দেওবন্দ, নদওয়াতুল উলামা, দারুল উলুম করাচী ও জামিয়া বিন্নুরী টাউনের ফতওয়া বিভাগ ছাড়াও জামিয়া আযহার ও মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে সমৃদ্ধ ওয়েবসাইট।
তার মতে, এ সংকট থেকে উঠে আসতে হবে উচ্চতর কওমী মাদরাসাগুলোকে। সহজে মানুষের কাছে ইসলাম পৌঁছানোর ব্যবস্থা ও উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিশ্ব মুসলিমের প্রতিনিধিত্ব করতে হলে ইন্টারনেট ভিত্তিক দ্বীনী কাজ ও প্রচার-প্রসারের বিকল্প নেই।’
চলবে...
কেএল/
                              
                          
                              
                          
                        
                              
                          