মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১১ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা শ্রমিকদের আইনগত অধিকার: আইনমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: র্মক্ষেত্রে সুরক্ষা প্রত্যেক শ্রমিকের আইনগত অধিকার বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা জানান মন্ত্রী।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘নিশ্চিত করি শোভন কর্মপরিবেশ, গড়ে তুলি স্মার্ট বাংলাদেশ।’

আলোচনা সভায় আনিসুল হক বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা প্রত্যেক শ্রমিকের আইনগত অধিকার। এ অধিকার বাস্তবায়নে শোভন, সুষ্ঠু ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই। নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘কারখানা ও প্রতিষ্ঠানে পেশাগত সুরক্ষা নিশ্চিত করা সরকার বা মালিকপক্ষের ইচ্ছের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগ নেই। এটি এখন মালিকপক্ষের জন্য দায়বদ্ধতায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ শ্রম আইন ও বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালার ভিত্তিতে কর্মক্ষেত্র নিরাপদ ও শোভন রাখতে হবে। দেশ যেভাবে উন্নত বিশ্বের অভিমুখে যাত্রা করেছে, সেখানে পেশাগত সুরক্ষার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা টেনে আনিসুল হক বলেন, ‘স্বাধীনতার পর তৎকালীন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের কলকারখানাসমূহ জাতীয়করণ করা হয়। বঙ্গবন্ধুর সেই পদক্ষেপের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত ও আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা। জাতির পিতার নীতি ও আদর্শকে অনুসরণ করেই বর্তমান সরকার দেশের সকল খাতের শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নানাবিধ কল্যাণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।’

দেশকে স্মার্ট ও উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশকে লক্ষ্যমাত্রা পৌঁছাতে মেহনতি ও শ্রমজীবী মানুষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এজন্য শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশে সৃষ্টি করার বিষয়টি সর্বাগ্রে গুরুত্ব দিতে হবে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তর এবং সংস্থাকে বাংলাদেশে কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’

নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই জ্যৈষ্ঠ নেতা বলেন, ‘দেশে শিল্প-কারখানা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অসংখ্য নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। দেশের রপ্তানি বাণিজ্য আজ বিশ্বব্যাপী বিকাশ লাভ করেছে। রপ্তানি বাণিজ্যের বাজার ধরে রাখার পাশাপাশি আরও বিস্তৃত করার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমমান অনুযায়ী, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও কর্মক্ষেত্রে কল্যাণমূলক ব্যবস্থাসমূহ নিশ্চিত করতে হবে।’

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ