মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১১ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

বাবার অবসরের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব, লাশ ফেলে পালাল সন্তানরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বাবার লাশ দাফন না করেই পেনশনের টাকার ভাগ নিয়ে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয় সন্তানেরা। যে বিবাদ মীমাংসা করতে পার হয়ে যায় অনেক সময়। অবশেষে জনপ্রতিনিধিরা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অবসরের টাকা সমবণ্টনের আশ্বাস দিলে মৃত মনির আহমদের (৬৫) ছেলেরা প্রায় ৪০ ঘণ্টা পর বাবার লাশ দাফন করেন।

সোমবার সকাল ১০টার দিকে বড় উঠান ইউনিয়নে বৃদ্ধের নিজ বাড়িতে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয় বেলা ১১টার দিকে।

বড় উঠান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল আলম বলেন, ‘অবসরের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বৃদ্ধ মনির আহমদের মরদেহ সড়কে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সে ফেলে রেখে গত শনিবার রাত থেকে বিরোধে জড়ায় তার সন্তানরা। রোববার রাত পর্যন্ত লাশ সড়কেই পড়ে থাকে। পরে জনপ্রতিনিধিরা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বৃদ্ধের লাশ দাফনের পর তার অবসরের টাকা ছেলে-মেয়েদের মধ্যে সমবণ্টনের আশ্বাস দিলে বৃদ্ধের ছেলেরা লাশ দাফনের অনুমতি দেন।’

কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে স্থানীয়রা জানান, মনির আহমদের অবসরের টাকা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে মেজ মেয়ে বেবি আক্তারের সঙ্গে অন্য ভাই-বোনদের বিরোধ চলছিল। শনিবার তাদের বাবা মারা যাওয়ার পর এ নিয়ে রোববার সকালে ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে সামাজিক বৈঠকও হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মারা যাওয়ার পর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সে এনে লাশ রেখে দেন বাড়ির পাশের সড়কে। সকাল থেকে অবসরে টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ভাই-বোনদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ চলে।

ইউপি সদস্য মো. সাইফুদ্দিন বলেন, ‘মনির আহমদের অবসরের টাকা ব্যাংক থেকে উঠিয়ে ফেলার অভিযোগ এনে ভাইবোনের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এর জেরে বাবার লাশ দাফন করতে দিচ্ছিলেন না ছেলেরা।’

আরএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ