রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
চবির আরবি বিভাগের নতুন সভাপতি অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার ডেঙ্গুতে একদিনে ১২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৪০ সিরাতকে ধারণের মাধ্যমেই সত্যিকার পরিবর্তন সম্ভব: ধর্ম উপদেষ্টা সিরাতুন্নবী (সা.) সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার লাইভ ড্র অনুষ্ঠান ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজনৈতিক দলগুলো: প্রেসসচিব আফগানিস্তানের এক ইঞ্চি মাটিও নিয়ে কোনো চুক্তি নয়: প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বক্তা আমির হামজার ক্ষমা প্রার্থনা, সতর্ক করল জামায়াত আফগানের পানি ও বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের আলেম প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ধর্মীয় অনুশাসনের শিথিলতা পরিবারব্যবস্থা সংকটাপন্ন করে তুলছে: শায়খ আহমাদুল্লাহ

সপ্তাহ শেষে বিশ্রাম কেন গুরুত্বপূর্ণ?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নাগরিক জীবনে সপ্তাহজুড়ে নানান কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা কখনোবা রাত পর্যন্ত জীবন ও জীবিকার জন্য ছুটতে হয়। সেটা চাকরিজীবী হোন কিংবা ব্যবসায়ী, একটু ভালো থাকতে সবার যেনো থামার কোনো অবসর নেই। কিন্তু শরীরের স্বার্থে খানিকটা বিরতি নিতেই হবে। কারণ সপ্তাহ শেষে বিশ্রাম খুব দরকার।

কাজের ধরণটা শারীরিক হোক বা মানসিক, সবসময়ই নিজের প্রয়োজনের উর্ধ্বে গিয়ে সবাই কাজ করেন। অনেকেই বলতে পারেন, এখন তো বাড়ি বসেই কাজ, তাহলে আবার সপ্তাহে আলাদা করে একটি দিন বিশ্রামের কেন প্রয়োজন। গেল দেড়টা বছর ধরে কোভিডের কারেণ সবারই কমবেশি শারীরিক অবস্থার তুলনায় মানসিক অবস্থা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূলত সে কারণেই মাথা ঠাণ্ডা রাখা প্রয়োজন, শরীরকে বিশ্রাম দেওয়া প্রয়োজন।

অনেক সময় দেখা যায়, শরীরে কোনো ব্যথা লাগলে আমরা সেটিকে দ্রুত সুস্থ করার জন্য বিশ্রামের প্রয়োজন অনুভব করি। তেমনই প্রয়োজন মাথার কোষগুলোকে বিশ্রাম দেওয়া। যেকোনো অসুস্থতা এবং মানসিক চাপ কমতে বেশ কিছুদিন সময় লাগে। তাড়াহুড়া করলে কোনোদিন কিছুই সম্ভব নয়। তাই অধৈর্য হলে চলবে না। সারা সপ্তাহের ক্লান্তি এবং বিরক্তি কমাতে একটি দিন অন্তত নিজের মতো করে সময় কাটানো খুব দরকার।

দিনের পর দিন বিরামহীন কাজ করে যেতে থাকলে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে শরীরে-মনে। অনেককেই দেখা যায় যেকোনো বিষয়ে হুটহাট রেগে যান, সামান্য কারণে হৈচৈ করেন। আবার অনেকেই আছেন যারা মানসিক শান্তি ফিরিয়ে আনতে ওষুধ গ্রহণ করেন। এই বিষয়গুলো ক্ষতিকর। তাই সম্ভব হলে আজই দাড়ি টানুন এসব বদঅভ্যাসে।

অতিরিক্ত ওজন কমানো-বাড়ানোর বিষয়ে নিজেকে অহেতুক বিচলিত করবেন না। ওজন নিয়ে কমবেশি সবাই চিন্তায় থাকেন। এমন চিন্তা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন, অন্তত সপ্তাহে একটি দিন। কারণ, এই বিষয়টি মানসিক চাপ বেশি দেয়।

বিশ্রাম একধরনের শারীরিক নিরাময়। এটি শুধু শরীরের জন্য নয়, মনের জন্যও বাধ্যতামূলক। যেকোনো থেরাপির চেয়েও এটি অধিক উপকারী। সাধারণত, দেহে হ্যাপি হরমোন বিশ্রামের মধ্যে থেকেই আসে। প্রদাহ, ব্যথা এমনকি হরমোনের ভারসাম্য কমাতেও এটি প্রয়োজন।

সহজ ভাষায় নিজেকে আনন্দে রাখুন। সপ্তাহের এই একটি মাত্র ছুটির দিনটিতে নিজেকে সময় দিন। সিনেমা দেখুন, সুস্বাদু মজার খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান। নিজেকে মন থেকে ভালো রাখুন, দেখবেন কতোটা মুক্ত লাগছে। পাশপাশি অন্য দিনগুলোতে পরিশ্রম করার শক্তিও সঞ্চয় করতে পারবেন যদি ছুটির দিনে শরীর ও মনকে বিশ্রাম দেন।

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ