রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে আজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিস বানিয়াচং উপজেলা শাখার ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন ‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ‘ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য থেকে বিরত থাকুন’ গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, সড়কে জুমা আদায়

কাউকে কষ্ট দেয়া ইসলামে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি আবু দাউদ আরকামী।

কখনো কারো মনে কষ্ট দিব না। তা অনেক বড় গুনাহ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার সাহাবীদেরকে বললেন, তোমরা কি জানো, নিঃস্ব কে? তাঁরা বললেন, আমরা তো নিঃস্ব বলতে তাকেই বুঝি, যার কোনো ধন-সম্পদ নেই। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না, নিঃস্ব সে নয়, প্রকৃতপক্ষে নিঃস্ব হচ্ছে সে, যে কিয়ামতের দিন অনেক নামায-রোযা-যাকাতের নেকী নিয়ে আসবে, কিন্তু দুনিয়াতে সে একে গালি দিয়েছে, তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, এর মাল জোর করে দখল করেছে, ওর রক্ত প্রবাহিত করেছে অর্থাৎ তাকে হত্যা করেছে অথবা আহত করেছে, তাই সকল মাযলুম তার সেসব জুলুমের বদলা নিতে আসবে।

আল্লাহ তাআলা তখন জুলুমের বদলা হিসেবে তার নেকীগুলো মাজলুমদের দিয়ে দিবেন। একপর্যায়ে তার সকল নেকী শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু জুলুমের বদলা নেওয়া এখনো শেষ হবে না। তখন মাজলুমের গোনাহগুলো চাপিয়ে দিয়ে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৫৮১

জুলুমের প্রতিদান জালিমকে পেতেই হবে। কেবল পরকালেই নয়, দুনিয়াতেও মানুষকে তার অপকর্মের কুফল ভোগ করতে হয়। বিশেষত জুলুম-অত্যাচার ও অন্যের অধিকার কেড়ে নিলে দুনিয়াতেই আজাব আসে। কারণ, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘দুটি গুনাহ এমন আছে, যার শাস্তি পরকালে অবধারিত থাকা সত্ত্বেও দুনিয়ায়ও দিয়ে দেওয়া হয়। একটি হলো, কারো ওপর জুলুম করা; অন্যটি হলো, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা।’ -তিরমিজি ও আবু দাউদ।

নাউযুবিল্লাহ! আল্লাহ্ আমাদের রক্ষা করুন। কত ভয়ানক শাস্তি জালেমের জন্য। এবার একটু চিন্তা করে দেখি। আমি কারো প্রতি জুলুম করছি না তো! আমার কারণে কেউ মনে কষ্ট পাচ্ছে না তো! আমি হয়ত কারো চেয়ে একটু বেশি সুন্দর, কিংবা আল্লাহ তাআলা হয়ত অনুগ্রহ করে আমার মাঝে কারো চেয়ে একটু বেশি মেধা দিয়েছেন, আমি কি শোকর করছি আল্লাহর এই নিআমাতগুলোর, নাকি আত্মগর্বে লিপ্ত থেকে অন্যের উপর অহংকার করছি? তাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছি? আল্লাহ হয়ত আমাকে একটু সুযোগ দিয়েছেন কারো উপকার করার।

আমার দ্বারা তার কোনো বান্দার উপকৃত হওয়ার। এই উপকারের খোঁটা দিয়ে আমি তার মনে কষ্ট দিচ্ছি না তো! তার হৃদয়টা দুঃখে ভরিয়ে দিচ্ছি না তো! আমার দ্বারা কারো উপকারের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আল্লাহর শোকর আদায় করতে হবে এবং তাঁর কাছে বিনীত হতে হবে। খোঁটা দিয়ে এই উপকারের সওয়াব নষ্ট হওয়া থেকে আমাকে সতর্ক থাকতে হবে। আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন।

লেখক: শিক্ষক, জামিয়া দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ