শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
দেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা তালেবান সরকারের নিষিদ্ধের তালিকায় মওদুদীর বই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা পর্তুগালের যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৪ দালাল ধরে গিয়েছিলেন ইরাকে, ময়লার ভাগাড়ে তিন টুকরায় মিলল লাশ দক্ষ কর্মীদের ভিসা ফি ১,৫০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করলেন ট্রাম্প নোয়াখালীতে অটোরিকশা উল্টে প্রাণ গেল নারীর ,আহত-৪ ইসলামী ছাত্র মজলিস সিলেট মহানগর, জেলা ও শাবিপ্রবি’র সহযোগী সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের সভাপতি নাসির উদ্দিন এডভোকেট এর ইন্তেকাল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুলঞ্জ ইউনিয়ন শাখা কমিটি গঠন সম্পন্ন

‘হুজুরের এ স্নেহমাখা ডাক আজো আমায় আলোড়িত করে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বিশ্ব বিখ্যাত দারুলউলুম দেওবন্দের সদরুল মুদাররিসিন (একাডেমিক প্রধান) ও শায়খুল হাদিস মুফতি সাইদ আহমদ পালনপুরী রহ. ইন্তেকালের এক মাস গত হল। বহুমুখী প্রতিভাধর সমকালীন এ মনীষা আমাদের এ শতকের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত এক রহমত ছিলেন। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে তার অসংখ্য গুণগ্রাহী। কালের এ মনীষী নিয়ে এবার কথা বলেছিলাম ঢাকার ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরার প্রধান মুফতি ও মুহাদ্দিস,  প্রখ্যাত আলেম মুফতি এনামুল হক এর সাথে। আওয়ার ইসলাম থেকে তার মুখোমুখি হয়েছেন তরুণ আলেম লেখক  আবুল ফাতাহ কাসেমী।


আওয়ার ইসলাম: দেওবন্দে কত সালে পড়েছেন? হুজুরের সাথে আপনার কত বছরের সম্পর্ক?

মুফতি এনামুল হক: আমি ১৯৮৬ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত দারুলউলুম দেওবন্দে পড়ি। প্রিয় উস্তাদ মুহতারাম মুফতি সাইদ আহমদ পালনপুরী রহ এর কাছে হেদায়া তৃতীয় খণ্ড, তিরমিজি শরিফ, তহাবি শরিফ পড়ি। হুজুরের বড় ছেলে মাওলানা মুফতি রশিদ আহমেদের সাথে হুজুরের কাছে বিশেষভাবে 'শরহে উকুদু রসমিল মুফতি 'ও পড়ি। এ দীর্ঘ সময়ে হুজুরকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে।

আওয়ার ইসলাম: কী কারণে হুজুর আজো স্মৃতিতে ভাস্বর?
মুফতি এনামুল হক: হুজুর সলফের জীবন্ত নমুনা। পূর্বেকার সব আকাবিরদের কিছু না কিছু নমুনা হুজুরের মধ্যে পাওয়া যায়। সব শ্রেণির শিক্ষার্থী, সব শ্রেণির লেখক, সব শ্রেণির বোদ্ধা মহল হুজুর থেকে উপকৃত হয়েছেন সমানভাবে।

হুজুর যা কিছু বুঝতেন গোড়া থেকে বুঝতেন। ইলমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হুজুরের দখল ছিল যার কারণে প্রথমিকের ছাত্রদের জন্য হুজুর লেখেছেন আবার সর্বোচ্চ বোদ্ধা শ্রেণির জন্যও হুজুরের কারনামা আছে। 'আলা ওজহিল আকমাল' সমকালীন ইলমি বিশ্বে পালনপুরী হুজুরের ন্যায় আর কাউকে দেখিনি। তাই হুজুর আজো স্মৃতিতে ভাস্বর।

আওয়ার ইসলাম: হুজুরের সাথে কোন স্মৃতি মনে পড়ে?
মুফতি এনামুল হক:  ছাত্র সময়ের থেকে হুজুরের সাথে পরামর্শ করে চলতাম। গত বছর শাবানে হুজুরের সাথে সাক্ষাৎ করতে দেওবন্দ গিয়েছিলাম। দূর থেকে সালাম দেওয়া মাত্র ই হুজুর রহ বললেন, মৌলবি এনাম। হুজুরের এ স্নেহমাখা ডাক আজো আমায় আলোড়িত করে। আমি বসুন্ধরায় তিরমিজি পড়াই। হুজুর জানেন। দেখলেই জিজ্ঞেস করতেন, 'আভি তিরমিজি কা কেতনে সাল হুয়া।

আওয়ার ইসলাম: হুজুরের কোন কিতাব পড়ে বেশি মুগ্ধ হয়েছেন?
মুফতি এনামুল হক: হুজুরের সব কিতাবই তো সব শিক্ষার্থীর জন্য মুগ্ধকর। আমি যেহেতু তিরমিজি শরিফ পড়াই তাই এ কিতাবের ব্যাখ্যাগ্রন্থ হুজুরের 'তুহফাতুল আলমায়ী' আমার কাছে তিরমিজি শরিফ হল করার জন্য বেনযির মনে হয়েছে।

আওয়ার ইসলাম: হুজুর ব্যতিক্রম কেন?
মুফতি এনামুল হক: মা আনা আলাইহি ও আসহাবি'র পূর্ণ অনুসারী হলেন উলামায়ে দেওবন্দ। আর মাসলাকে দেওবন্দের উপর থেকও অনেক ইদানিং কালে কিছু টা ইফরাত তাফরিত তথা প্রান্তিকতার শিকার হয়েছেন। হুজুর মাসলাকে দেওবন্দকে আসল রুপ রেখার রাখতে আমৃত্যু চেষ্টা করে গেছেন এ ক্ষেত্রে কারো পরোয়া করতেন না। দরসে ছাত্রদের সতর্ক করতেন। দুনিয়ার যেখানেই আলোচনা করতেন সেখানেই স্পষ্ট ভাষায় সতর্ক করতেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ