রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৯ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
হজের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে সময়ের আলোর আয়োজনে গোলটেবিল সিরাজগঞ্জের চার আসনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ঘোষণা জিলকদের চাঁদ দেখতে কাল বসবে কমিটি পরীক্ষা শেষে রাস্তা পার হতে গিয়ে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল এসএসসি পরীক্ষার্থীর নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত কক্সবাজারের সাবেক এমপি জাফর আলম ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার ইসলামী শক্তির ঐক্যের ডাক : ৩ মে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ইসলামী আন্দোলনের  বৈঠক দেশের ৯০ ভাগ নারী এই কমিশনের বিরুদ্ধে: আমিরে মজলিস প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আরিফ বিন হাবিবের খোলা চিঠি

'লাইফ ইন্সুরেন্স' জায়েজ নেই, দেওবন্দের ফতোয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মানুষের স্বাভাবিক বা আকষ্মিক মৃত্যুতে পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নিশ্চয়তা প্রদানে প্রতিষ্ঠিত জীবন বীমা। এতে ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য বীমা করে। এর মধ্যে কিস্তিতে সে একটি নির্দিষ্ট হারে প্রিমিয়াম পরিশোধ করে। আমরা অনেকেই জীবন বীমা বা লাইফ ইন্সুরেন্স করে থাকি।

সম্প্রতি ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগে ইসলামের দৃষ্টিতে ইন্সুরেন্স বা জীবন বীমা জায়েজ আছে কিনা জানতে চেয়ে জৈনক এক ব্যক্তি প্রশ্ন করলে দারুল উলুমের ইফতা বিভাগ থেকে জীবনা বীমা নাজায়েজ বলে ফতোয়া দেওয়া হয়েছে।

ওই ব্যক্তি তার প্রশ্নে বলেন, একটি কোম্পানি দাঁড় করাতে আমার অনেক টাকা ঋণ হয়ে গেছে। ব্যাংক থেকেও কিছু ঋণ নিয়েছি। এখন কিছু কিছু পরিশোধ করছি। কিন্তু কখনো কখনো অন্তরে এ খেয়াল আসে। যদি কোনো দূর্ঘটনা ঘটে যায়? এমন সময় আমার এক বন্ধু একটি লাইফ ইন্সুরেন্স করার পরামর্শ দেয়।

[caption id="attachment_175956" align="aligncenter" width="300"] বই কিনতে ক্লিক করুন[/caption]

আমার বন্ধু আমাকে বলেছেন, একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্রতিমাসে কোম্পানিকে কিস্তি দিতে হবে। যদি এর মাঝে কোনো দূর্ঘটনা ঘটে যায়, যেমন ইন্তেকাল হয়ে যাওয়া। তাহলে কোম্পানি থেকে বড় অংকের টাকা পাবে। আর যদি কোনো দূর্ঘটনা না ঘটে তাহলে কোম্পানি থেকে কোনো টাকাও পাবে না। আর কোনো লভ্যাংশও পাবে না। আমার জানার বিষয় হলো, এই ইন্সুরেন্স করা বৈধ নাকি অবৈধ?

এই প্রশ্নের উত্তরে দারুল উলুম দেওবন্দ বলে, আপনার বন্ধু যে পরামর্শ দিয়েছে সেটা ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক জায়েজ নেই। ইন্সুরেন্সের সিস্টেমে জুয়া এবং সুদও থাকে। আর এ উভয়টিকে পবিত্র কুরআনে হারাম করা হয়েছে। এ কারণে ইন্সুরেন্স করা জায়েজ নেই।

মূল ফতোয়াটি পেতে ক্লিক করুন...

ফতোয়া প্রদানে- ইফতা বিভাগ , দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারত।

এমএম/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ