রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জাগো হে কওমি তারুণ‍্য! রাতেই ঢাকাসহ তিন অঞ্চলে ঝড়ের আভাস অর্থনীতির মূল লক্ষ্য হতে হবে উদ্বৃত্ত সৃষ্টি: বাণিজ্য উপদেষ্টা চবির আরবি বিভাগের নতুন সভাপতি অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার ডেঙ্গুতে একদিনে ১২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৪০ সিরাতকে ধারণের মাধ্যমেই সত্যিকার পরিবর্তন সম্ভব: ধর্ম উপদেষ্টা সিরাতুন্নবী (সা.) সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার লাইভ ড্র অনুষ্ঠান ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজনৈতিক দলগুলো: প্রেসসচিব আফগানিস্তানের এক ইঞ্চি মাটিও নিয়ে কোনো চুক্তি নয়: প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা

নিরাপদ অঞ্চল গঠনের প্রস্তাব নাকচ করেছে মিয়ানমার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সেইফ জোন বা নিরাপদ অঞ্চল গঠনের প্রস্তাব নাকচ করেছে মিয়ানমার।

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মিয়ানমার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে ঢাকা-নেপিদো চুক্তির বাইরে কোনো কিছু করার সম্ভাবনা নেই।

তবে, রোহিঙ্গাদের বসবাসের আরো উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিকে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা জানিয়েছে মিয়ানমার।

এবারের অধিবেশনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী যে চারটি প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে সেইফ জোনের বিষয়ে স্পষ্ট উল্লেখ নেই।

তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বেসামরিক পর্যবেক্ষক মোতায়েন করে, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রস্তাব দেন শেখ হাসিনা।

এর একদিন পর জাতিসংঘের দেয়া ভাষণে মিয়ানমার প্রতিনিধি জানান, নিরাপদ অঞ্চল গঠনের প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয়। তবে রোহিঙ্গাদের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিকে মিয়ানমার অগ্রাধিকার দেবে বলে জানান দেশটির ইউনিয়ন মন্ত্রী।

মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ইউনিয়ন মন্ত্রী চিয়াও তিন্ত সোয়ে বলেন, মিয়ানমারের ভেতরে সেফ জোন বা নিরাপদ অঞ্চল তৈরির চাপ রয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয়া যাবে না। কারণ এটি বাস্তবসম্মত নয়।

যাচাই-বাছাইয়ের পর, প্রত্যাবাসনের ৩ হাজার ৪৫০ রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমার চূড়ান্ত করলেও, সেখানে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে ব্যর্থ হওয়ায়, দু'দফা চেষ্টার পরও একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত পাঠানো যায়নি।

চিয়াও তিন্ত সোয়ে আরো বলেন, ঢাকা-নেপিদো দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী, কক্সবাজারের শিবির থেকে মিয়ানমারে ফিরতে আগ্রহীদের দ্রুত প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে আগ্রহী আমরা।

তবে মিয়ানমারের নাগরিক বলে যারা নিজেদের প্রমাণ করতে পারবে, তাদের পরিচয়পত্র দেয়া হবে। বাকিদের ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড দেয়া হবে।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে সেনা অভিযানে, বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার চাপের মুখে, তাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার রাজি হলেও, নিরাপত্তা কারণে সে উদ্যোগ ভেস্তে গেছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ