বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে হাতপাখার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে: পীর সাহেব চরমোনাই ‘মানুষ জানতে চায় ক্ষমতায় গেলে রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের জন্য কী করবে’ খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজারবাগে পুলিশ কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার পদত্যাগের পর আসিফ-মাহফুজকে যে পরামর্শ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা কারওয়ান বাজারে মুঠোফোন ব্যবসায়ীদের সড়ক অবরোধ কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ওলামায় কেরামের বিকল্প নেই: শায়খে চরমোনাই গোপালগঞ্জে পুলিশ সুপারের সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা তফসিল: বিটিভি ও বেতারে রেকর্ড হলো সিইসির ভাষণ

'ছোটবেলা থেকেই বইয়ের প্রতি ভালোবাসা ছিল'

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তিনি বইয়ের ফেরিওয়ালা। নিজের ফেসবুক আইডিতেই বিজ্ঞাপন দেন বইয়ের। তরুনদের অনুপ্রেরণা দেন বই কেনার, পড়ার, উপহার দেয়ার। পছন্দের বই পৌঁছে দেন পাঠকের ঠিকানায়। বর্তমান নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত তরুণ সমাজের মন ও মানসে ছড়াতে চান হেরার আলো। জ্বালাতে চান জ্ঞানের প্রদীপশিখা।

বলছিলাম, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী স্বপ্নচারী তরুণ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ’র কথা। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-ই নয়, দেশসেরা আলিয়া মাদরাসা তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসায় ফিকহ বিভাগ থেকেও অর্জন করেন (মাষ্টার্স) ডিগ্রি। বইপ্রেমী এ স্বপ্নবাজ তরুণ বললেন স্বপ্ন ও সম্ভাবনার গল্প। তার সঙ্গে আলাপচারিতায় ছিলেন আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমের কন্ট্রিবিউটর আল ফাতাহ মামুন। 


আওয়ার ইসলাম: নিজেকে একজন বইয়ের ফেরিওয়ালা ভাবতে কেমন লাগে?

আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ: আসলে বই নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে অনেক আগে থেকেই ছিলো। আর এখন যখন দু’হাতে বই নিয়ে হাঁটি তখনকার অনুভূতি বলে বোঝাতে পারব না।

আওয়ার ইসলাম: ঠিক কোন চিন্তা থেকে বইয়ের ফেরিওয়ালা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন?

আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ: বইয়ের প্রতি ভালো লাগা থেকেই আসলে এমন সিদ্ধান্ত নিই।

আওয়ার ইসলাম: শুরুর গল্পটা বলুন...

আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ: ছোটবেলা থেকেই বইয়ের প্রতি ভালোবাসা ছিল। হাতের কাছে কোন বই পেলেই পড়তাম। ভাবতাম অনেকে বই লিখে আমি লিখতে পারি না। অনেকে বই প্রকাশ করে আমি প্রকাশ করতে পারি না! মনের মধ্যে একটা আফসোস ছিল, আমি কি বইয়ের ভুবনে কোনো ভূমিকা রাখতে পারব না। পরে ভাবলাম, আমি তো অন্তত ফেরি করে বই পাঠকের হাতে তুলে দিতে পারি।

সে চিন্তা থেকে আমরা তিন বন্ধু ২০১৮ সালে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কথা ভাবি। তারপর বই ও আসবাবপত্র কেনার জন্য কিছু টাকাও জোগাড় করি। কিন্তু কোনো এক কারণে আমাদের সেই পরিকল্পনা আর আলোর মুখ দেখেনি। তবে সে বছর ঈদ উপলক্ষে নিজ এলাকায় একশ’ বই বিতরণ করেছিলাম।

কেমন জানি বইয়ের প্রতি ভালবাসাটা বেড়ে যাচ্ছিল দিন দিন। পরের বছর আল্লাহর নাম নিয়ে নিজেই বই ফেরি করার কাজটা শুরু করে দিলাম। এভাবেই মূলত শুরু। আলহামদুলিল্লাহ! এখন ‘সিকদার অনলাইন বুকশপ’ নিয়মিত পাঠকদের হাতে বই তুলে দিচ্ছে।

আওয়ার ইসলাম: কেউ বিরুপ মন্তব্য করে না?

আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ: বিরুপ মন্তব্য করে না। তবে অনেককেই মুখ টিপে হাসতে দেখেছি। কিন্তু এসব আমি থোরাই কেয়ার করি। সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমি আমার কাজকে শ্রদ্ধা করি। কাজ করে আনন্দ পাই এবং উপভোগ করি।

আওয়ার ইসলাম: ‘সিকদার অনলাইন বুকশপ’ সম্পর্কে কিছু বলুন...

আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ: আলহামদুলিল্লাহ! ‘সিকদার অনলাইন বুকশপ’ একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে। আর আমি এটাকে প্রতিষ্ঠানই মনে করি। ইনশাল্লাহ, এটা একসময় বড় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে এবং বইয়ের জগতে শক্ত জায়গা করে নেবে। এটা আমার উচ্চাকাঙ্খা, উচ্চাভিলাসও বলতে পারেন।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ