বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
ভারতের প্রেসক্রিপশনে আন্দোলন সফল হতে দেবে না জনগণ: মাওলানা ইউসুফী ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রতিটি স্কুল-কলেজে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা করব’ বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান

শবে বরাতেও যাদের দোয়া কবুল হবে না: মাওলানা তারিক জামিল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা তারিক জামিল 
মুসলিম স্কলার ও দাঈ

শবে বরাতের রাতে ফেরেশতারা সারাবছর যা কিছু হবে সব ঘোষণা করতে থাকে। কোথায় যুদ্ধ হবে, কোথায় শান্তি থাকবে, কোথায় বৃষ্টি হবে, কোথায় শুকনো থাকবে, কতজন মারা যাবে, কতজন জন্মগ্রহণ করবে, কোন ব্যক্তির রিজিক কোথায় রয়েছে, কার সম্মান বৃদ্ধি পাবে, কার বদনাম হবে - ফেরেশতারা সবকিছু এ রাতে এলান করে দেন।

এক ব্যক্তির নাম মৃতের খাতায় লেখা হয়েছে। ফেরেশতারা এলান করে দিয়েছে। এরপর ফেরেশতারা তার দিকে দৃষ্টি রাখতে থাকে। সে যখন বদমায়েশি করে তখন ফেরেশতারা বলে, দেখো! ওর নাম মৃতের খাতায় লেখা রয়েছে। আর সে কিনা নাফরমানি করতেছে!

আল্লাহর কাছে পাঁচটি দামী রাতের অন্যতম হলো ১৫ শাবানের রাত বা  “লাইলাতিন নিছফি মিন শা’বান”। এ রাতে আল্লাহ তায়ালা উম্মতকে জাহান্নাম থেকে নাজাত দেন।

রাসুলে আরাবী সা. বলেছেন, এ রাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বনী কালব গোত্রের বকরীর গায়ে যে পরিমাণ পশম থাকে সে পরিমান মানুষকে মুক্তি দান করেন। এখানে বনী কালব একটি উধাহারণ মাত্র, অর্থাৎ এ কথা দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে আল্লাহ তায়ালা অগনিত মানুষকে নাজাত দেবেন।

তবে আল্লাহর বিশেষ ক্ষমার ঘোষণা থাকা সত্ত্বেও এ রাতে সাত শ্রেণির মানুষের মুক্তি নেই। তারা হলো-

১. মুশরিক, ২. মদ পানকারী, ৩. পিতা-মাতার অবাধ্যতাকারী, ৪. হাসাদ বা হিংসা পোষণকারী, ৫. আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী, ৬. যিনাকারী, ৭. অহংকারী

এ রাতের নিষিদ্ধ কাজ : আমাদের সমাজে দেখা যায় এ রাতে অনেকেই রাত জেগে সম্মিলিতভাবে দলবেঁধে ইবাদাত করে। মসজিদে লাইট জালানো হয়, আলো ঝলমল পরিবেশ তৈরি করা হয়। এ সব আমলের কোনো ভিত্তি ইসলামে নেই। এ রাত নফল ইবাদাতের রাত। যতবেশি পারা যাবে নফল ইবাদাত করতে হবে। আর এ রাতের সর্বোত্তম ইবাদাত হলো, তাওবা করা ও দোয়া করা।

(উর্দু থেকে অনুবাদ করেছেন মোস্তফা ওয়াদুদ)

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ