বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫ ।। ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৩ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
শ্রমিকদের অবস্থা পরিবর্তন না করে বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয় : প্রধান উপদেষ্টা ৬ষ্ঠ বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ সুকুক শিগগিরই ইস্যু হচ্ছে হেফাজতের মহাসমাবেশ সফল করতে হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালকের আহ্বান ইসরায়েলে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা  নিশ্চিত করতে হবে: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ‘ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ’ কীভাবে সংকলিত হয়, কেন গুরুত্বপূর্ণ সৌদি পৌঁছেছেন সাড়ে ৯ হাজার হজযাত্রী ‘আমরা প্রস্তুত, পরীক্ষা নিও না’ হুঁশিয়ারি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উপন্যাসে মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অতীত তুলে ধরেন তিনি দারুল উলূম রামপুরার কেনা জায়গা দখলের পাঁয়তারা, নির্মাণকাজে বাধা

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য নিরাপদ স্থানের সন্ধানে টেকনাফের ইউএনও

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইকবাল আজিজ
টেকনাফ প্রতিনিধি

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের সরিয়ে আনতে নিরাপদ জায়গার সন্ধানে নেমেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল হাসান। রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ জায়গার সন্ধানে তিনি ২১ এপ্রিল টেকনাফের উঞ্চিপ্রাং, চাকমারকুল রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণয় চাকমা, জাতিসংঘ উদ্বাস্ত বিষয়ক হাইকমিশণ (ইউএনএইচসিআর), আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, অল্প বৃষ্টিতেই রোহিঙ্গারা আতঙ্কের মধ্য পড়েছে। পাহাড় কেটে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসতি গড়া ১১ লাখের মতো রোহিঙ্গার ঘুম হারাম হয়ে উঠেছে পাহাড় ধ্বসের আশংকায়। পাশাপাশি মাটি ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছিল বিভিন্ন সড়ক-উপসড়ক। গত কয়েকদিন আগে অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তাগুলো ভাঙ্গতে শুরু করেছে।

সড়কের অবস্থা হয়ে উঠেছে বিপজ্জনক। বৃষ্টির কারণে যাতায়াতের পথগুলো অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন রোহিঙ্গারা। বর্ষা যতোই ঘনিয়ে আসছে ততোই মৃত্যুর ভয় তাড়া করছে রোহিঙ্গাদের।

তবে সাহায্যকারী সংস্থার দাবী রোহিঙ্গাদের নিরাপদ বসবাস নিশ্চিত করতে তারা দিন রাত কাজ করছেন। ছোট ছোট বাঁশের খুঁটির ওপর ত্রিপলের ছাউনি দিয়ে পাহাড়ের টিলায় বানানো ঘরগুলো অতি-বর্ষণে ধ্বসে পড়ার আশংকা রয়েছে। পাশাপাশি সামান্য বাতাসে ভেঙে পড়ার ঝুঁকি এখন প্রত্যেক রোহিঙ্গার।

উখিয়া-টেকনাফের ১২টি রোহিঙ্গা শিবিরের মধ্যে প্রায় ১০ শিবিরের ১১ লাখের বেশী রোহিঙ্গা পাহাড় ধ্বসের ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে দ্রুত রোহিঙ্গাদের যদি পাহাড় থেকে নামিয়ে সমতলে আনা না হয় তাহলে বড় ধরণের বিপর্যয়ের আশংকা করছেন তারা।

পাহাড়ের ওপর বসবাসরত রোহিঙ্গা মোহাম্মদ করিম জানান, আমরা খুবই ঝুঁকিতে রয়েছি। বৃষ্টি হলেই আমরা পাহাড় ধ্বসের শিকার হবো। কিন্তু কি করব কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। ঝড়-তুফানের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।

এদিকে টেকনাফের সম্প্রচার গণমাধ্যম রেডিও নাফ দুর্যোগ, পাহাড় ধ্বসসহ সব বিষয়ে স্থানীয় কমিউনিটি ও বসবাসকারী রোহিঙ্গাদেরকে বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে সচেতন করার জন্য অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল হাসান বলেন, ঝুঁকিতে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ স্থানে বর্ষার আগেই সরিয়ে আনতে সরকারি নির্দেশনা মতে ইতোমধ্যেই একাধিক রোহিঙ্গা ক্যাম্প সরেজমিন পরিদর্শন ও সম্ভাব্য নিরাপদ স্থান দেখা হয়েছে। এব্যাপারে সরকারি নির্দেশনা মতে যথাসময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে’।

এসএস

আরো পড়ুন : সিরিয়ার রাকায় গণকবরে ২শ’টি লাশ পাওয়া গেছে


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ