রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে আজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিস বানিয়াচং উপজেলা শাখার ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন ‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ‘ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য থেকে বিরত থাকুন’ গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই

ঘরে ঢুকতে দিচ্ছে না স্ত্রী, দরজার সামনে স্বামীর অনশন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: প্রবীর সাহা সকালে শিলিগুড়ির সূর্য সেন কলোনিতে নিজ বাড়ির সামনে চাদরে হাঁটু মুড়ে বসে আছেন। পিছনে ফ্লেক্স। তাতে স্ত্রীর ছবি। পাশে নানা অভিযোগ লেখা।

ঘটনা শুনে এটা আপাতত আঁচ করা যাচ্ছে যে বিষয়টা পুরুষ নির্যাতনের একটি খণ্ডচিত্রই। তিনি তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনশনে বসেছিলেন। খবরটা চাউর হয়ে যায় কিছু সময়ের মধ্যেই। অনেক উঁকি দিতেও ভোলেননি।

এদিকে, স্থানীয় খবরটা পৌঁছে যায় কাউন্সিলর তৃণমূলের কৃষ্ণ পাল ও পুলিশের মধ্যস্থতায় প্রবীরবাবু অনশন তুলে নেন। বাড়িতেও ঢোকেন। তার স্ত্রী এই বিষয়ে কোনও মন্তব্যেই রাজি নন।

তার কথায়, ‘‘এটা পুরোপুরি পারিবারিক ঘটনা। বাইরের কাউকে কিছু বলব না।’’ কিন্তু পাড়ার লোকেদের বক্তব্য, আবার গন্ডগোল লাগলে কী হবে! প্রবীরবাবুর স্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘যা সিদ্ধান্ত নেয়ার, বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলেই নেব।’’

তাদের ২৮ বছরের বিবাহিত জীবন। এক ছেলে কলকাতায় চাকরি করেন। ছোট ছেলে কলেজে পড়েন। তিন তলা বাড়ি। বাড়ির নিচে একটি দোকান ছিল। তা কিছু দিন আগে বিক্রি হয়ে গিয়েছে।

প্রবীরবাবু ছিলেন একটি বেসরকারি অর্থ লগ্নি সংস্থার এজেন্ট। সেই সময় তিনি অনেকের টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। তার পরে সব সম্পত্তিই স্ত্রীর নামে করে দেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। বাড়িটিও তখন স্ত্রীর নামে করে দেন বলে দাবি।

প্রবীরবাবু জানান, ‘‘গচ্ছিত টাকা দিয়ে পাওনাদারদের বকেয়া মিটিয়েছি। তিন তলা বাড়ি, দোকান কিনেছিলাম। স্ত্রীর নামে করে দিয়েছিলাম। সোনার গয়নাও ছিল। সব নিজের নামে হওয়ার পর ও আমাকে বাড়িতে থাকতে দিচ্ছে না।’’

তার দাবি, স্ত্রীর তাকে আগেও বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছেন। এ দিন বাড়িতে ঢুকতে গেলে ফের বার করে দেওয়া হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নেন প্রবীর বাবু।

প্রতিবেশীরা জানান, বছর দু’য়েক ধরে সাহা দম্পতির মধ্যে টাকা পয়সা নিয়ে গন্ডগোল চলছিল। যদিও রাত অবধি কোনও পক্ষই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি।

স্থানীয় কাউন্সিলর কৃষ্ণবাবু বলেন, ‘‘প্রয়োজনে আদালত রয়েছে, সেখানে যেতে বলেছি। তবে এভাবে পাড়ার মধ্যে আমরণ অনশন করব বলে রাস্তায় বসে পড়াটাও মানা যায় না।’’

সূত্র: আনন্দবাজার


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ