রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টিকারী বক্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, সড়কে জুমা আদায় হেফাজতের চার রাহবার সিরাতে মুস্তাকিমের পথ প্রদর্শক ছিলেন: হেফাজত আমির শ্রীমঙ্গলে খেলাফত মজলিসের সিরাতুন্নবী (সা.) সম্মেলন ‘পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই’ ডাকসু-জাকসুর প্রভাব জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে, আশা জামায়াত আমিরের জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক 

বাড়িতে শৌচাগার নির্মাণের দাবিতে কিশোরীর ২ দিন অনশন!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বাড়িতে শৌচাগার নির্মাণের দাবিতে ২ দিন টানা অনশন করেন কিশোরী। তার জেদের কাছে নতিস্বীকার করে স্থানীয় প্রশাসন। বাড়িতে নতুন শৌচাগার তৈরি হওয়ার পরই অনশন ভাঙে ওই কিশোরী।

জানা যায় ভারতের কর্নাটক প্রদেশের বেল্লারি জেলায় সিরুগাপ্পা মহকুমার অন্তর্গত তালুর গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরী স্থানীয় সরকারি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। ২০১৫-১৬ সালে তার বাড়িতে একটি শৌচাগার বরাদ্দ করা হয়েছিল। যদিও, তা বাস্তবায়িত হয়নি।

সম্প্রতি, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে গ্রাম পঞ্চায়েত আয়োজিত একটি সচেতনতামূলক শিবিরে গিয়েছিল মহাকালী নামে ওই কিশোরী। সেখানে, সে বাড়িতে শৌচাগার থাকার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারে।

এরপরই বাড়ি ফিরে অবিলম্বে শৌচাগার নির্মাণের দাবি বাবার সামনে রাখে সে। জানিয়ে দেয়, যতক্ষণ না শৌচাগার নির্মাণ হচ্ছে, ততক্ষণ সে খাবার ও জল গ্রহণ করবে না।

মহাকালীকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে পরিবারের লোকজন। মেয়েকে তাঁরা জানান, এভাবে পরীক্ষার আগে খাওয়া বন্ধ করলে তার শরীর খারাপ হবে। কিন্তু, নিজের জেদে নাছোড় মহাকালী। টানা দুদিন ধরে সে অনশন করে চলে।

অনশেনের কথা গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতরে পৌঁছলে স্থানীয় সদস্যরা কিশোরীর সঙ্গে দেখা করে। কিন্তু, মহাকালী তাঁদেরও জানিয়ে দেয়, শৌচাগার নির্মাণ না হলে অনশন সে ভাঙবে না। রণে ভঙ্গ দেন পঞ্চায়েত সদস্যরা।

কিশোরীর দাবি অবেশেষে মেনে নিয়ে দ্রুত শৌচাগার নির্মাণ শুরু হয় মহাকালীর বাড়িতে। কয়েকদিনেরম মধ্যেই তার বাড়িতে নতুন শৌচাগার বসে যায়। এরপরই, অনশন ভাঙেন কিশোরী। সে জানায়, ওই শিবিরে গিয়ে সে অনুপ্রাণিত হয়েছিল।

কিশোরীর বাবা বলেন, যখন আমার মেয়ে খাবার ও জল গ্রহণ করেত অস্বীকার করল, তখন ভীষণ লজ্জা হল। ওকে বোঝানোর চেষ্টা করি। গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা এসে তার সঙ্গে কথা বলে শৌচাগার নির্মাণ করে দেন। এখন গ্রামবাসী তাঁর দৃঢ়প্রত্যয়ের কথা বলছে। গ্রামের ‘আইকন’ হয়ে উঠেছে মহাকালী।

এইচজে


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ