শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বিদেশি সংস্কৃতি চাপানোর চেষ্টা করবেন না: মুফতি ফয়জুল করিম জমিয়তের জাতীয় কাউন্সিলের ৭ নতুন প্রস্তাবনা ‘আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি ব্যতিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সংহতি বজায় রাখা সম্ভব নয়’ গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেপ্তার এবার যে ২০ ভাষায় অনুবাদ করা হবে হজের খুতবা সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ ৫ বছরের পক্ষেই জামায়াত স্বামীর টাকায় হজ করলে ফরজ আদায় হবে? ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ ৩০ ফিলিস্তিনি, নেই উদ্ধারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পেহেলগামে হামলার স্বচ্ছ তদন্তের জন্য পাকিস্তান প্রস্তুত: শাহবাজ শরীফ জমিয়তের সভাপতি আল্লামা ওবায়দুল্লাহ ফারুক মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি

কিরাতে লোকমা হলে কি সাহু সিজদা করা জরুরি?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মালেক: নামাযের কিরাতে কোথাও ইমামের সন্দেহ হলে এবং সামনে অগ্রসর হতে না পারলে মুকতাদীর তাকে সহযোগিতা করা উত্তম। সহযোগিতার পদ্ধতি এই যে, মুকতাদী উচ্চস্বরে শুদ্ধভাবে পাঠ করবেন।

এটাকে পরিভাষায় ‘লোকমা দেওয়া’ বলে। অনেক সময় কিরাত ছাড়াও উঠা-বসার ক্ষেত্রে কোথাও ইমামের ভুল হলে তাকে সতর্ক করাকেও লোকমা দেওয়া বলে। এই লোকমা দেওয়া ও নেওয়ার আদব ও বিধান রয়েছে। যেগুলো জানা ও মেনে চলা অপরিহার্য।

আম মানুষের মাঝে এই মাসআলাগুলোর আলোচনা কম হয়। সম্ভবত এরই প্রভাব যে, আমার এক সাথী একটা ঘটনা শোনালেন। তিনি নানা বাড়ি গিয়েছিলেন। নামাযে তাকে ইমাম বানানো হল। কিরাতে তার লোকমা লাগল। সালাম ফেরানোর পর মুসল্লিদের কেউ কেউ বলল, আপনি লোকমা নিয়েছেন কিন্তু সাহু সিজদা করেননি। তাই এখন নামায দোহরানো উচিত!!

অথচ সাহু সিজদার বিষয়টি নামাযের কোনো ওয়াজিবে ভুল করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিরাতের লোকমার সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। কিরাআতের যেসব ভুলের কারণে নামায ভেঙ্গে যায় এমন কোনো ভুল যদি কারো নামাযে হয় তাহলে সাহু সিজদার দ্বারা নামায শুদ্ধ হবে না; পুনরায় নামায আদায় করতে হবে।

পক্ষান্তরে কিরাতে যদি কোনো সাধারণ ভুল হয় কিংবা বড় ভুল হলেও লোকমা দেওয়ার পর ইমাম তা শুধরে নেন তাহলে নামাযের ক্ষতি হবে না। এক্ষেত্রে নামাযও পুনরায় পড়তে হবে না, সাহু সিজদাও ওয়াজিব হবে না।

আল কাউসার

এইচজে


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ