বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জামিন পেল লতিফ সিদ্দিকী মাধবপুর রাজনগরে ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত পুলিশের বাধার মুখে ইসলামি ৮ দলের গণমিছিল মিছিল নিয়ে যমুনার পথে যাচ্ছে ৮ ইসলামী দল বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক ছাত্রদল নেতা অস্ত্রসহ গ্রেফতার বরিশাল-৫ আসনে হাতপাখা প্রতীকের সেন্টার কমিটির প্রশিক্ষণ কর্মশালা ‘আমরা কিছু কাজের পর ঘুমিয়ে পড়ি, খতমে নবুওয়তবিরোধীরা তো ঘুমায় না’ পুঁজিবাজারে পাঁচ ইসলামি ব্যাংকের লেনদেন স্থগিত নবনিযুক্ত হাইকমিশনারের সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন মালয়েশিয়া শাখার সৌজন্য সাক্ষাৎ ইসলামি শক্তিকে আরও সচেতন ও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: ড. আহমদ আবদুল কাদের

মীর কাসেমের দাফন সম্পন্ন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

kasem_dafonআওয়ার ইসলাম: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় কার্যকর করার পর মানিকগঞ্জে তাঁর গ্রামের বাড়িতে লাশ দাফন করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হয়।

মীর কাসেমের ভাইয়ের মেয়ের জামাতা আবুল হাসান তার জানাজার ইমামতি করেন।

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা গ্রামে মীর কাসেম আলীর নিজ গ্রামের বাড়ির মসজিদের পাশে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এর আগে চালা গ্রামে মীর কাসেমের প্রতিষ্ঠিত মসজিদ প্রাঙ্গণসহ আশপাশে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় মীর কাসেমের মরদেহ বের করা হয় কাশিমপুর কারাগার থেকে। রাত ৩টা নাগাদ মানিকগঞ্জের চালা গ্রামে গিয়ে পৌঁছায় তাঁর মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স।

মীর কাসেম আলীর সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ করে কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শনিবার সন্ধ্যায় তার স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন মীর কাসেমের দাফন মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে করা হবে।

জেলার হরিরামপুর উপজেলার চালা গ্রামে তার প্রতিষ্ঠিত মসজিদ প্রাঙ্গণে লেবু বাগানের পাশেই তাকে দাফন করতে কবর খুড়া হচ্ছে। এজন্য সন্ধ্যা থেকে ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোর দার করা হয়।

একাত্তরে চট্টগ্রামে বাঙ্গালি খান হিসেবে পরিচিত মীর কাসেম আলীকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে রাত সাড়ে ১০টায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার সুতালরি ইউনিয়নের মুন্সীডাঙ্গি গ্রামে বাড়ি ছিল মীর কাসেম আলীর বাবা মৃত তৈয়ব আলীর। সেখানেই  ১৯৫২ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন মীর কাসেম আলী ওরফে মিন্টু। তবে ওই গ্রাম  অনেক আগেই পদ্মা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এরপর প্রায় ১৬ বছর আগে মীর কাসেম আলী হরিরামপুর উপজেলার চালা গ্রামে প্রায় ৫০ শতাংশ জমি কেনেন। সেখানে প্রতিষ্ঠা করেন মসজিদ। কিন্তু সেখানে কোনো বাড়িঘর করেননি। এই আসন থেকে তিনি চারদলীয় জোট থেকে নির্বাচন করতে চেয়ে ছিলেন। সেই সুবাদে এই এলাকায় তিনি প্রায় আসতেন। স্থানীয় জামায়াত নেতাদের সঙ্গে মসজিদে বসে মিটিং করতেন।  ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর সেখানে আর আসেননি তিনি।

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ