সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৩০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘৩ মে’র মহাসমাবেশ হবে তৌহিদি জনতার গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’ ৩ মের মহাসমাবেশ সফল করতে হেফাজত আমিরের আহ্বান হজ অ্যাপ ‘লাব্বাইক’ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ইসলামবিরোধী কবিতা লিখে নির্বাসিত, ৫০ বছরেও ফিরতে পারেননি দেশে তিন পুরুষের জমিয়ত উত্তরসূরী মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী আজ হজ ফ্লাইট উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা হেফাজতের খুলনা মহানগরী সভাপতি মাওলানা সাখাওয়াত, সম্পাদক গোলামুর রহমান যুদ্ধের মাঝে যৌথ অস্ত্র উৎপাদন: ভারত-ইসরায়েল সামরিক সম্পর্কের বিবর্তন তাকওয়ার ছায়ায় মানবসভ্যতার বিকাশ ‘মানুষের ক্ষুধা নিবারণ না করতে পারলে সংস্কার-নির্বাচন ভেস্তে যাবে’

ধর্ম থেকে দূরে থাকা ছেলেরাই ব্রেইন ওয়াশ হচ্ছে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ajm nasirআওয়ার ইসলাম ডেস্ক: চট্টগ্রামের মেয়র জননেতা আ জ ম নাসির বলেছেন, ‘ধর্মকর্ম না থাকা কিংবা ধর্মীয় জ্ঞাণ না থাকাই জঙ্গীবাদ সৃষ্ঠির প্রধান কারণ। আজকাল তরুণদের মাঝে নামাজ দোয়া না পড়া, কুরআন না পড়া, রোজা না রাখা এসব ফ্যশনে পরিণত। নিজেদের স্মার্ট ভাবতে তারা নামাজ দোয়া ছেড়ে দেয়। আধুনিকমনা প্রমাণে তারা কিঞ্চিৎ ধর্মীয় জ্ঞানও জানতে আগ্রগী হন না। আর এসব ধর্মীয় জ্ঞান থেকে দূরে থাকা ছেলেরাই পরবর্তিতে কুরআনা-হাদীস অপব্যাখ্যা দিয়ে ব্রেইন ওয়াশের সহজ শিকার হয়।

২৩ জুলাই শনিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস মিলনায়তনে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম মহানগর আয়োজিত ‘জঙ্গীবাদ : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে মেয়র আ জ ম নাসির এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমার দাদা একজন আলেম ছিলেন আমার বড় আব্বু দেওবন্দ থেকে পড়ে মুহহাদ্দিস হয়েছিলেন। আমিও ব্যাক্তিগতভাবে পাঁচওয়াক্ত নামাজ পড়ি, আমাদের ডিসি মহোদয়ের বাবাও একজন আলেম ও মসজিদের ইমাম। তিনিও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, কুরআন তেলওয়াত করেন। কই তিনি আমি, আমরা কেউই তো জঙ্গীবাদ পোষণ করি না। আলেম পরিবারের হওয়াতে আমাদের মাঝে সঠিক কুরআনের ব্যাখ্যা মোটামোটি জানা আছে। ধর্মীয় শিক্ষা দিন আপনাদের সন্তানদেরও।

মেয়র নাছির বলেন, দেশে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতির চর্চা নেই, সংস্কৃতির চর্চা নেই বা আমরা বিজ্ঞানমনস্ক নই বলে জঙ্গিবাদের উত্থান নিয়ে যে বক্তব্য এটির সাথে আমি পুরাপুরি একমত না। এ ধরনের বক্তব্য হল নিজেকে দায় এড়ানোর। এটা সম্পূর্ণ আবেগের কথা। কারণ দেখুন ইদানিং জঙ্গি তৈরি হচ্ছে ইউরোপ আমেরিকায়। আমাদের দেশের ছেলেরাও সেখানে পড়তে গিয়েই জঙ্গি হচ্ছে অথচ সেখানে সর্বোচ্চ প্রগতিবাদি, বিজ্ঞানমনস্ক কিংবা সংস্কৃতির চর্চা হয়।

আমার দাদা একজন আলেম ছিলেন আমার বড় আব্বু দেওবন্দ থেকে পড়ে মুহহাদ্দিস হয়েছিলেন। আমিও ব্যাক্তিগতভাবে পাঁচওয়াক্ত নামাজ পড়ি, আমাদের ডিসি মহোদয়ের বাবাও একজন আলেম ও মসজিদের ইমাম। তিনিও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, কুরআন তেলওয়াত করেন। কই তিনি আমি, আমরা কেউই তো জঙ্গীবাদ পোষণ করি না। আলেম পরিবারের হওয়াতে আমাদের মাঝে সঠিক কুরআনের ব্যাখ্যা মোটামোটি জানা আছে। ধর্মীয় শিক্ষা দিন আপনাদের সন্তানদেরও।

তিনি আরো বলেন, আসলে এখানে জঙ্গীর আড়ালে একটি রাজনীতি চলছে যেখানে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি জড়িত। নইতো জঙ্গিরা এত অস্ত্র পায় কোথায়? এত আধুনিক বোমা বানানোর সরঞ্জাম কোথাই পায়? কারা দিচ্ছে তাদের এসব? কারা মদদ দিচ্ছে তাদের?

অতএব জঙ্গী দমনে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন অভিবাভকের সন্তানের প্রতি নজরদারি বাড়ানো। ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা এবং আমাদের সকলের সচেতনতা বৃদ্ধি করা । ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা সকলের কাছে পৌছে দেয়া।

nasir

মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কাউন্সিলর আনজুমান আরা বেগম, আবিদা আজাদ প্রমুখ।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ